বাস্তুশাস্ত্র নির্মাণ সম্পর্কিত জিনিসগুলির শুভ এবং অশুভ ফলাফল সম্পর্কে বলে। যদি কোনও ব্যক্তি তার জীবনে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হন, তবে বাস্তু দোষ তার কারণ হতে পারে। বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ি বা ব্যক্তি সম্পর্কিত সমস্যার কারণ ও সমাধানও উল্লেখ করা আছে। এটি ভূমি, দিকনির্দেশ এবং শক্তির নীতিতে কাজ করে। পাঁচটি উপাদানের ভারসাম্যের নীতিও এতে কাজ করে।
বাস্তুশাস্ত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
বাস্তুশাস্ত্র বোঝার জন্য, রাশিফলও অধ্যয়ন করা উচিত। তবেই সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে। জমিতে নির্মিত বাড়ি এবং ফ্ল্যাটের মধ্যে পার্থক্য বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। উভয়ের বাস্তু নীতি খুবই ভিন্ন। এছাড়া ঘরের রঙের দিকেও নজর দিতে হবে। এর পাশাপাশি বাড়িতে থাকা মানুষগুলো কেমন আছে সেটাও বোঝা জরুরি।
জমিতে তৈরি বাড়িতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
* বাস্তুশাস্ত্রে, বাড়ির মূল দিকে মনোযোগ দিন। সূর্যালোকের দিকে মনোযোগ দিন। বাড়ির প্রধানের সঙ্গে বাড়ির বাস্তুর সমন্বয় পরীক্ষা করুন। ঘরে কোনও সমস্যা হলে রং দিয়ে শুধরে নিন। পুজোর স্থান এবং বাড়ির সিঁড়ির দিকে বিশেষ নজর দিন। বাড়িতে নিয়মিত পুজো করুন।
ফ্ল্যাটের বাস্তুশাস্ত্রে এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিন
* ফ্ল্যাটে দিকনির্দেশের কোনও মানে নেই। এটিতে সূর্যালোক এবং বাতাসের দিকে মনোযোগ দিন। ঘরের রঙের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ঘরে পুজোর স্থানকে বাঁচিয়ে রাখুন। বাড়ির প্রবেশদ্বারটি সুন্দর করুন।
বাড়ির সঠিক কাঠামো কী?
রান্নাঘর: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির রান্নাঘর সব সময় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত। এমন বাড়িতে কখনও খাবার ও অর্থের অভাব হয় না।
বেডরুম: বাড়ির বেডরুম দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত। এর ফলে দাম্পত্য জীবনে কখনও তিক্ততা আসে না।
ঠাকুর ঘর: বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে পুজোর স্থান বা মন্দির তৈরি করা উত্তম। এমন বাড়িতে সর্বদা ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকে।
প্রধান দরজা: বাড়ির প্রধান দরজা সবসময় উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে তৈরি করা উপযুক্ত। এতে ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)