প্রত্যেক চাকরিজীবী মানুষই তাঁর বেতন পাওয়ার দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কারণ ওই বেতনেই তাঁর পরিবারের সমস্ত খরচ চলে। আবার ভবিষ্যতের সঞ্চয়ও করা হয় ওই বেতন থেকেই। এই প্রতিবেদনে সেই বেতন সংক্রান্তই কয়েকটি প্রতিকারের বিষয়ে বলা হবে, যেটি মেনে চললে বাড়িতে অর্থের আগমন চিরকাল বজায় থাকবে। অর্থাৎ ব্যক্তিকে কখনওই আর্থিক কষ্টে ভুগতে হবে না। একইসঙ্গে থাকে ইনক্রিমেন্টের সম্ভাবনাও।
বেতন পাওয়ার পর কিছু দান করুন
জ্যোতিষীদের মতে, দান ধ্যান ধর্মীয় শাস্ত্রে সবচেয়ে বড় পুণ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বলা হয় যাঁরা নিয়মিত দান ধ্যান করেন, তাঁরা জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যান ও মোক্ষ লাভ করেন। তাই যখনই আপনার কাছে টাকা থাকবে, আপনাকে উচিত সঠিক অনুপাতে দান-খয়রাত করা। কারণ এমনটা করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। বেতন পাওয়ার পর, দরিদ্রদের খাদ্য বা বস্ত্র দান করা। তাতে সর্বদা পরিবারের অর্থ ও খাদ্য ভাণ্ডার পূর্ণ থাকে।
গরুকে রুটি খাওয়ান
দরিদ্র্যদের দান ধ্যান করা ছাড়াও, বেতন পাওয়ার পর সেই টাকা দিয়ে কেনা আটা থেকে তৈরি করা রুটি অবশ্যই গরুকে খাওয়ান। সেই সঙ্গে গোরুর জন্য পশুখাদ্যেরও যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। এমনটা করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খুব খুশি হন এবং সেই ব্যক্তির উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। গরুকে রুটি খাওয়ালে প্রচুর পুণ্য লাভ করা যায়।
পাখিদের জন্য খাবার ও জল রাখুন
শুধু তাই নয়, বেতন পাওয়ার পর সেই টাকা দিয়ে পাখির খাবার কিনে ছাদে রাখুন, যাতে পাখিরা পেট ভরে খাবার পায়। সেই সঙ্গে ছাদে ওই পাখিদের জন্য জলেরও ব্যবস্থা করে রাখুন। কারণ অবলা প্রাণীদের জন্য খাদ্য ও জলের ব্যবস্থা করলে খুবই শুভ ফল পাওয়া যায়। যার ফলে জীবনে উন্নতির পথ আপনাআপনি প্রশস্ত হতে শুরু করে। সুতারাং বেতন পাওয়ার পর এই কাজগুলি করলে জীবনে কখনও অর্থের অভাব হয় না।
আরও পড়ুন - পয়লা বৈশাখের পরেই গজলক্ষ্মী রাজযোগ, দেবগুরু কৃপা বর্ষাবেন ৩ রাশিতে