Vastu Tips: বাস্তু অনুসারে, মন্দির সর্বদা ঈশান কোণ বা উত্তর কোণে হওয়া উচিত। বাড়িতে মন্দিরের সঠিক দিক নির্দেশনা থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে মন্দির থাকলে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাড়ির ঠাকুরঘরে বাস্তু দোষ থাকলে, ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাড়তে শুরু করে।
বিশ্বাস অনুযায়ী, ঠাকুরঘরের সঠিক দিক এবং উপাসনালয়ে ভগবানের মূর্তি ও ছবির সঠিক দিকটিও জানা প্রয়োজন। কথিত আছে যে, বাড়িতে তৈরি মন্দির যদি বাস্তুর বিপরীত হয়, তবে পুজো করার সময় মন একাগ্র হতে পারে না এবং পুজো করে কোনও লাভ হয় না। জানুন, এমন কিছু বাস্তু টিপসের কথা যা আপনি আপনার ঠাকুর ঘরের সঙ্গে সম্পর্কিত।
* বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঠাকুরঘর সঠিক দিকে হওয়া উচিত। যদি উপাসনার ঘর সঠিক দিকে না হয় তবে তা উপকারী হবে না। তাই পূজা ঘর সবসময় উত্তর দিকে হওয়া উচিত। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে দক্ষিণ বা পশ্চিম দিক অশুভ। বাড়ির মন্দিরে দুটি শঙ্খ একসঙ্গে রাখা ঠিক নয়।
* ভাঙা মূর্তি কখনও ঠাকুরঘরে স্থাপন করা উচিত নয়। এটি সবচেয়ে অশুভ বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, ভাঙা মূর্তি পুজো করলে দেবতা রুষ্ট হয়।
* বাস্তু অনুসারে, পুজোর ঘর কখনই স্টোররুম, বেডরুম এবং বেসমেন্টে থাকা উচিত নয়। পুজো ঘর সবসময় খোলা জায়গায় তৈরি করা উচিত।
* ঠাকুরঘর স্টোর রুম, বেডরুম এবং বেসমেন্টে থাকা উচিত নয়। পুজোর ঘর সব সময় খোলা জায়গায় তৈরি করা উচিত।
* বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঠাকুরঘরে ভগবানের একাধিক ছবি রাখবেন না। এছাড়াও মনে রাখবেন যে গণেশের ৩ মূর্তি থাকা উচিত নয়। নয়তো বাড়িতে শুভ কাজে বাধার সৃষ্টি হয়। মূর্তি ও ছবি স্থাপনের সঠিক দিক সম্পর্কেও জ্ঞান থাকতে হবে।
* মনে করা হয় যে মন্দিরে হনুমানজির বড় মূর্তি রাখা উচিত নয়। ঠাকুরঘরে তাঁর মূর্তি সব সময় ছোট রাখা উচিত। এর পাশাপাশি বজরংবলির উপবিষ্ট মূর্তি রাখা ভাল বলে মনে করা হয়। শিবলিঙ্গও মন্দিরে রাখা উচিত।
* ভুল করেও মন্দিরের কাছে টয়লেট তৈরি করবেন না। অনেক সময় মানুষ বাড়ির রান্নাঘরে মন্দির তৈরি করে, কিন্তু বাস্তু অনুসারে রান্নাঘরেও মন্দির থাকা উচিত নয়। এতে মা লক্ষ্মী রেগে যান।
* বাড়ির মন্দির বা ঠাকুরঘরে সর্বদা দেব-দেবীর হাসিমুখ ছবি রাখতে হয়। দেব-দেবীর উগ্র রূপের ছবি না রাখাই ভাল। এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)