Advertisement

মা লক্ষ্মী কেন পদ্মাসনা? জানুন কী বলছে পুরাণ ও জ্যোতিষশাস্ত্র

কোজাগরী পূর্ণিমা উপলক্ষে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন বঙ্গবাসী। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও নানা উপাচারে পদ্মে বিরাজমান লক্ষ্মীর পুজো করার রীতি সেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু মা লক্ষ্মী পদ্মাসনা কেন? অর্থাৎ মা লক্ষ্মী পদ্মেই কেন উপবিষ্ট? পুরাণ মতে ক্ষীরোদ সাগরে মহানাগের ওপরে শ্রী বিষ্ণুর সঙ্গে বিরাজ করেন মহালক্ষ্মী।

পদ্মে উপবিষ্ট মা লক্ষ্মী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 30 Oct 2020,
  • अपडेटेड 1:00 PM IST
  • ৫টি বিশেষ স্থানে লক্ষ্মীর বাস
  • ক্ষীরোদ সাগরে মহানাগের ওপরে শ্রী বিষ্ণুর সঙ্গে বিরাজমান মহালক্ষ্মী
  • হাতের আঙুলের অগ্রভাবে আবাস দেবীর

কোজাগরী পূর্ণিমা উপলক্ষে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন বঙ্গবাসী। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও নানা উপাচারে পদ্মে বিরাজমান লক্ষ্মীর পুজো করার রীতি সেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু মা লক্ষ্মী পদ্মাসনা কেন? অর্থাৎ মা লক্ষ্মী পদ্মেই কেন উপবিষ্ট? পুরাণ মতে ক্ষীরোদ সাগরে মহানাগের ওপরে শ্রী বিষ্ণুর সঙ্গে বিরাজ করেন মহালক্ষ্মী। আবার সনাতন ধর্ম অনসারে, বিশেষ ৫টি স্থানে লক্ষ্মীর বাস। আর পদ্ম একান্তই স্ত্রীয়ের প্রতীক। তাই দেবীকে পদ্মাসনা হিসেবেই কল্পনা করা হয়েছে সনাতন ধর্মে। আর সেই কারণেই দেবীর পুজোয় পদ্ম অপরিহার্য। যদিও সনাতনী ঐতিহ্য অনুসারে, গজকুম্ভ অর্থাৎ হাতির কপালের মাঝখানে যে উঁচু অংশ সেখানেই থাকেন লক্ষ্মী। যে কারণে মা লক্ষ্মীর অনেক ছবির দুই পাশে হাতির অবস্থান দেখা যায়। 

অন্যদিকে জ্যোতিষশাস্ত্রের আবার ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। জ্যোতিষ বলছে, হাতের আঙুলের অগ্রভাবে বাস করেন দেবী। আর সেই কারণেই মানুষের অন্যতম কাজের অঙ্গ হল হাত ও আঙুল। এই অঙ্গই মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়। এদিকে হিন্দু শাস্ত্র আবার বলছে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সমৃদ্ধির আশায় অনেকেই বছর ভর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর আরাধনা করেন। আর কোজাগরী পূর্ণিমার দিন বিশেষ আয়োজনে পূজিতা হন দেবী। এছাড়া লক্ষ্মীকে শষ্যের দেবী কল্পনা করে, ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি,আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলিতে তাঁর পুজো হয়। এককথায় বলতে গেলে মাঠে ফসল হওয়ার সময়ই ধনদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন মানুষ।

এদিকে সমাজ নৃতত্ত্ববিদরা মনে করেন আদি মাতৃকাশক্তির প্রতিরূপ হলেন মা লক্ষ্মী। অন্য একটি মত বলছে, দেবীর আরও এক আবাস স্থল বিল্বপত্র  বা বেল পাতার উল্টো দিক। এক্ষেত্রে একটা বিষয় উল্লেখ্য তা হল, ৩টি বেল পাতাকে দেবাদিদেব মহাদেবের ত্রিনয়ন রূপেরও কল্পনা করা হয়। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement