করোনা মহামরির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার সমস্ত লক্ষণই দেখা যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। এমনটাই দাবি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। দেশে আর্থিক অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আরবিআই জানিয়েছে, এখনও কিছু বাধাবিপত্তি থাকলেও দ্রুত উন্নয়নের পথেই এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।
এরমধ্যেই সামনে এল আরও একটি বড় খবর। যেখানে দাবি করা হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির ব্রিটেনকে টপকে যেতে আর ৫ বছর সময় লাগবে। ব্রিটেনের অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ (সিইবিআর)-এর প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৫ সালের পরের পাঁচ বছরে অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে একে একে ভারতের পিছনে পড়বে জার্মানি আর জাপান।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে ২০৩১ সালে জাপানকে পিছনে ফেলে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে।
তার আগে অবশ্য ২০২৭ সালে অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে জার্মানিকে পেছনে ফেলে দেবে ভারত।
এদিকে আগামী কয়েক বছরেই আমেরিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় অর্থনীতি হিসাবে স্থান করে নিতে চলেছে চিন। করোনা অতিমারীর জেরে মার্কিন অর্থনীতি যে ধাক্কা খেয়েছে, তার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছে সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স এণ্ড বিজনেস রিসার্চ এর বার্ষিক রিপোর্ট।
শনিবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে পতন হলেও চিনের পক্ষে এটা লাভদায়ক হয়েছে। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে চিন সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ালেও চিনের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে না আমেরিকা। আমেরিকাকে ছাপিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে আসতে চলেছে চিন। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে ২০২৮ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে চিন।
অর্থনীতির মোট অঙ্কের হিসেবে বর্তমানে ভারতের স্থান ষষ্ঠ। যদিও ২০১৯ সালে ব্রিটেনকে টপকে ভারতের অর্থনীতি পঞ্চম স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে জিডিপি (মোট জাতীয় উৎপাদন) প্রবল ধাক্কা খাওয়ায় ফের এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে ভারত।
বিভিন্ন দেশের বৃদ্ধির হারের হিসেব কষে সিইবিআর-এর অর্থনীতিবিদেরা অবশ্য আশার আলো দেখাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, ২০২১ সাল থেকে ফের ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার গতি পাবে। ভারতীয় অর্থনীতি ২০২১ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ শতাংশ প্রসারিত হতে পারে।