অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের শক্তিশালী ইঙ্গিত মিলছে শেয়ার বাজারে! মঙ্গলবারের পর বুধবারেও শেয়ারবাজারের উত্থান অব্যহত। নতুন উচ্চতায় সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে Sensex, Nifty।
সেনসেক্স ৮৭৩ পয়েন্ট লাভের সাথে ৫৪,৩০০-র রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছে। পাশাপাশি নিফটিও প্রথমবার ১৬ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে ১৬,২৫০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারে বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের সম্পদও। শেয়ারবাজারের এই উত্থানে ২.৩০ লক্ষ কোটি টাকা পুঁজি বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের।
বুধবার সকালে এসবিআই, এইচডিএফসি, টাইটানের মতো কোম্পানিগুলির শেয়ারের উত্থানের ফলে সেনসেক্স ৮৭২.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩,৮২৩.৩৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে। নিফটিও ২৪৫.৬০ পয়েন্ট বেড়ে ১৬,১৩০.৭৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
২৫ মার্চ, ২০২০-তে, নিফটি ৮ হাজারে লেনদেন করছিল। তারপর ১৬ মাসের মধ্যে নিফটি দ্বিগুণের উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। বিএসইতে ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ২৭টি শেয়ার আজ শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী।
মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপও গতকাল রেকর্ড বৃদ্ধিতে বন্ধ হয়েছে। বিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন নতুন রেকর্ড গড়ে ২৪০.০৪ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
শেয়ার বাজারে ব্যবসায় গতি আসার কারণগুলি হল, জুলাই মাসে, রপ্তানি, জিএসটি পুনরুদ্ধার, উৎপাদন সহ অনেক অর্থনৈতিক সংকেত শক্তি দেখিয়েছে। কোম্পানিগুলো জুনের শেষে বড় মুনাফার কথা ঘোষণা করেছে। জুলাই মাসে বেকারত্বের হার ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। দেশের ৬০ শতাংশের বেশি কোম্পানির উৎপাদন বেড়েছে। এ সবেরই প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি ও করোনা সংক্রমণের কারণে শেয়ার বাজারে ফের পতন হতে পারে। যে সব স্টক এখন পর্যন্ত ভাল রিটার্ন দিয়েছে সেগুলিও ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। অতএব, বিনিয়োগকারীদের বৈচিত্র্যের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।