রাজ্যের ডিএ মামলা নিয়ে খবর। দিন নির্ধারিত থাকলেও শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে। ফলে হতাশ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে। ৬০ নম্বর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত ছিল রাজ্যের ডিএ মামলা। মামলার স্টেটাস ছিল 'ফাইনাল ডিসপোজাল'। তবে এদিনও মামলাটি ওঠেনি।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, ৩৯ নম্বর মামলা ওঠার পরই বিচারকরা উঠে যান। ফলে রাজ্যের ডিএ মামলা ওঠারই সুযোগ পায়নি কোর্টে। সূত্রের খবর, মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এর আগে মামলাটি ১০-এরও বেশি বার শুনানির জন্য উঠেছে। তার মধ্যে মাত্র এক বারই দীর্ঘ সময়ের জন্য মামলাটি শোনা হয়। এদিনও মামলাটি না ওঠায় হতাশ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িজের মামলা না ওঠাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছে। কোনও কোনও সরকারি কর্মী প্রশ্ন তুলেছেন, 'প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ কি কোনওভাবে করা যায় না?' আবার কেউ কেউ লিখেছেন, 'এভাবে আর কতদিন চলবে? কেন সুপ্রিম কোর্ট লাখ লাখ সরকারি কর্মীর স্বার্থ দেখছে না?'
আর এক মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদও হতাশ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি না হওয়ায়। এই নিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর স্বার্থে আমরা লড়াই করছি। দিনের পর দিন শুনানি হচ্ছে না। এতে আমরা হতাশ। তবে হাল ছাড়ব না। আমরা সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'
২০২২ সালে ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়। তারপর একের পর এক দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে দেওয়া হলেও শুনানি হয়নি বলে অভিযোগ। আজ, সোমবার এই মামলা ওঠার আগে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি উঠেছিল। সেদিনও শুনানি হয়নি।
প্রসঙ্গত, এই মামলাতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙঘভি। তাঁর সওয়াল ছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই মুহূর্তে ওই আর্থিক বোঝা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। যদিও তারপর একের পর এক শুনানির তারিখ দেওয়া হলেও তা হয়নি।