ডিএ নিয়ে ফের সুখবর। জুলাই মাসে আবারও মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় খবর। অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) লাগু করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রেলওয়ের একটি সমিতি। বলা হয়েছে, কর্মচারীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সরকারের অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের সময় এসেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী বছর মহার্ঘ ভাতা ৫০ (DA 50 Percent Increasing) শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, রেলওয়ে সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের আবেদন করেছে। সোসাইটি বলেছে যে ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে মহার্ঘ ভাতা ৫০ শতাংশ অতিক্রম করবে। এর আগে, তিনটি কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছিল যে ভবিষ্যতের বেতনের সংশোধন তখনই করা উচিত যখন মহার্ঘ ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। সোসাইটি কমিশনের এই সুপারিশের একটি স্মারকলিপি ২০২৩ সালের ৩০ মে অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে।
এখন ডিএ ৪২ শতাংশ
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ মার্চ মাসে বাড়ানো হয়েছিল। যা ১ জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে প্রযোজ্য। এই বৃদ্ধির পর কার্যকর ডিএ ৪২ শতাংশ হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে জুলাই মাসে সরকার আবার ডিএ ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে এবং তারপরে মহার্ঘ ভাতা মূল বেতনের ৪৫ শতাংশে বাড়বে। এরপর পরের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আবারও ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানো হবে, তা হবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশের সমান। অর্থাৎ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এর পর বেতন পর্যালোচনা করে নতুন কমিশন গঠনের সময় আসবে।
কী আছে অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে
রেলওয়ের সোসাইটির অর্থমন্ত্রীর কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেছে, মূল্যস্ফীতির প্রভাব দূর করতে বেতন সংশোধন করা প্রয়োজন। জানুয়ারী ২০২৪ থেকে, মহার্ঘ ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশে পৌঁছাবে এবং তারপরে এর সাথে সম্পর্কিত বেতন পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
শুধু মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়
অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যে হারে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। শুধু ডিএ বা ডিআর বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। এতে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের প্রতি সুবিচার হচ্ছে না। মহার্ঘ্য ভাতা এখন মূল বেতনের ৫০% এ পৌঁছেছে, তাই মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মাথাপিছু আয় বাড়াতে বেতন পর্যালোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।