ডিএ (Dearness Allowance) বা মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। বিরাট ঘোষণা রাজ্যের মন্ত্রী তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের। ডিএ-র দাবিতে এখন আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর তার মধ্যেই এই কথা জানালেন তিনি।
সোমবার বিধানসভায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা সবাইকে দেওয়া হবে। সবারই প্রয়োজন। তবে কবে ডিএ দেওয়া হবে রাজ্যের সরকারি কর্মী-শিক্ষকদের তা স্পষ্ট করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই সদস্য। তবে তাঁর মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই দাবি করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদে মতে, একদিকে সুপ্রিম কোর্টে কেস অন্যদিকে আন্দোলন এই দুইয়ের চাপে পড়েই তিনি ডিএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ করে গরীব শ্রেণীর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন। তাই ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে। যাতে গরীব মানুষ সপ্তাহে একদিন মাছ-ভাত খেতে পারে, সেদিকটাও তিনি খেয়াল রাখছেন। যারা সরকারি চাকরি করছে তারা তো খেতে পরতে পারছে। তবে যারা একেবারে গরীব তাদেরও দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডিএ মামলা এখন সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন। মার্চের ১৫ তারিখে ফের শুনানি রয়েছে। এই মামলার (WB DA case in Supreme Court)৷ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে হাইকোর্ট ও স্যাট একাধিক বার রাজ্যকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য বারবার নির্দেশ অমান্য করছে ৷
ডিএ-র দাবিতে ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। গত প্রায় ১২দিন ধরে শহিদ মিনারের কাছে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছেন সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরাও।
৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, শিক্ষক পদে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদেরও ডাকা হবে বলে খবর। সেদিন তাঁরা ওই মঞ্চ থেকে তাঁদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরবেন। যৌথ মঞ্চের নেতারা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের দাবি না মানলে ৮ ফেব্রুয়ারি আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি (larger protest) ঘোষণা করা হবে। আর তারমধ্যেই এই কথা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী।