বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যে কর্মবিরতি চলছে সরকারি কর্মীদের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের আঁচ এবার লোকসভাতেও। অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলন নিয়ে লোকসভার মাননীয় স্পিকার ওম বিড়লার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এদিন লোকসভা অধিবেশনে, সৌমিত্র খাঁ মাননীয় স্পিকার শ্রী ওম বিড়লাকে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা রাস্তায় বসে আছেন। তাঁরা ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন-অনশন করছেন। আমার প্রশ্ন, কতজন অসংগঠিত শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ থেকে ই-শ্রম পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন!আমার আর একটি প্রশ্ন হল, এই যে সরকারি কর্মীরা ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিলছে না, তাঁদের জন্য কি কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি কিছু করতে পারে?'
যদিও সৌমিত্র খাঁয়ের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'লোকসভায় বসে আছি মানেই যা খুশি বলতে পারি, এমনটা হতে পারে না। তিনি পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে কথা বলছেন লোকসভায়। যার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এটা এখন কোর্টে বিচারাধীন।'
প্রসঙ্গত, ডিএর দাবিতে অনড় ধর্মতলার বিক্ষুব্ধরা। সোমবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে। কর্ম বিরতির কথা জানাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
২০০৯ থেকে এখনও পর্যন্ত এআইসিপিআই অনুসারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়েছে সংগঠন। এছাড়াও সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি জানিয়েছে তারা। সেইসঙ্গে চলছে অনশন। দুএকজন অনশনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
এ দিন ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বহু সরকারি কর্মী যোগ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি বকেয়া ডিএ দিতে হবে ও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। যতদিন না বকেয়া টাকা না মিলবে, এই আন্দোলন চলবে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা জেলার একই চিত্র। এ দিন ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আসানসোল আদালত চত্বরে কর্মবিরতি পালন চলে।