ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে বড় আপডেট। জুলাই মাসে ডিএ (DA) ঘোষণা হতে পারে। এই বছরের প্রথমার্ধে সরকার ডিএ ৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। ফলে সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। আবারও সরকার কর্মীদের ডিএ চার শতাংশ বাড়াতে পারে।
মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে ডিএ বাড়ে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের (Govt Employee DA) । ডিএ চার শতাংশ বাড়লে তা ৪৬ শতাংশে পৌঁছবে। এতে বেতনও বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি যত বেশি, ডিএ বৃদ্ধি তত বেশি। শ্রম ব্যুরো কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা এবং মহার্ঘ ভাতা গণনা করে। এটি ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI-IW) এর ভিত্তিতে গণনা করা হয়।
বেতন কত বাড়বে? ডিএ চার শতাংশ বৃদ্ধির পরে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও বোঝা যাক। ধরুন একজন কেন্দ্রীয় কর্মচারীর মূল বেতন ১৮ হাজার টাকা। ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ মেলে ৬,৮০০ টাকা। ৪২ শতাংশ বাড়লে তা হবে ৭,৫৬০ টাকা। অর্থাৎ কর্মচারীর বেতন ৭২০ টাকা বৃদ্ধি পাবে।
সরকার ২০২২ সালের মার্চ মাসে কর্মচারীদের ডিএ তিন শতাংশ বাড়িয়েছিল। এই বৃদ্ধির পর কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৪ শতাংশ হয়। এরপর দুবার ডিএ বেড়েছে চার শতাংশ। ডিএ সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর অংশ। মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর নিয়েও কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে? এর পাশাপাশি বলা হচ্ছে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরও বাড়াতে পারে সরকার। যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়, তাহলে কর্মীদের মূল বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। কর্মীরা বর্তমানে ২,৫৭ শতাংশ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর পান। ৪২০০ টাকা গ্রেড পে সহ একজন কর্মচারী ১৫,৫০০ টাকা মূল বেতন পান। এইভাবে তার মোট বেতন হবে ৩৯, ৮৯৫ টাকা।
ষষ্ঠ সিপিসি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। কর্মচারীরা ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩,৬৮ শতাংশে উন্নীত করার দাবি করছেন। যদি এই ধরনের বৃদ্ধি হয়, তাহলে বিদ্যমান ন্যূনতম মজুরি ১৮ থেকে ২৬ হাজার টাকা হবে।