Gold, Silver Price Drop: বেশ কিছুদিন ধরেই সোনার দাম দ্রুত কমছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চলমান অস্থিরতার কারণে সোনার দরে ব্যাপক চাপ দেখা যাচ্ছে। প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম কমেছে ৫ হাজার টাকার বেশি। এমতাবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, সোনা কেনার এটাই কি সঠিক সময়? নবরাত্রি থেকে শুরু হবে উৎসবের মরসুম। এই সময়ে সোনা ও রুপোর চাহিদা বাড়ে। ভারতে দীপাবলি ও ধনতেরাস উপলক্ষে দেশে সোনা ও রুপো কেনার একটি ঐতিহ্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা-রুপোর দর:
আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষ করে আমেরিকার বাজারে চাপের কারণে সোনার দাম কমছে। বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা প্রতি আউন্সে ১৮২৭.৪০ ডলারে নেমেছে। মাত্র চার মাস আগে এটি আউন্স প্রতি ২,০৮৫.৪০ ডলারের রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছিল। একইভাবে রুপোর দামও ০.৪৮ শতাংশ কমে ২১.২৮ ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে। ভারতীয় বুলিয়ন বাজারেও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সোনার দাম ৬১,৭০০ টাকার রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছিল। সেই স্তর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫,০০০ টাকার বেশি কমেছে।
ভারতে সোনা ও রুপোর অবস্থা:
বৃহস্পতিবার সকালে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) সোনা ও রুপোর সামান্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সকালে, রুপো প্রতি কেজিতে ৪৬৭ টাকা বেড়ে ৬৭,৩৫২ টাকায় লেনদেন করছে। একইভাবে সোনার দাম ১৪৯ টাকা বেড়েছে এবং প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,৮৭০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। বুলিয়ন মার্কেট সম্পর্কে কথা বললে, বুধবার বন্ধ হওয়া ট্রেডিং সেশনে, সোনা প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,৬৫৩ টাকা এবং রুপো প্রতি কেজিতে ৬৭,৪৪৬ টাকায় বন্ধ হয়েছে। বুলিয়নে রুপোর দাম চার মাস আগে তার রেকর্ড দর ৭৭,২৮০ টাকায় পৌঁছেছিল। চার মাস আগের রেকর্ড উচ্চ স্তর থেকে রুপোর দর প্রায় ১০ হাজার টাকা কমেছে।
সোনা ও রুপো দর কেন কমেছে?
বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়। সোনার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর হারও বাড়বে। বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যাপকভাবে এর হার প্রভাবিত করে। যেমন, যদি বিশ্ব অর্থনীতি খারাপভাবে কাজ করে তাহলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিকল্প হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ শুরু করে। ফলে সোনার দাম দ্রুত বাড়তে থাকে। করোনা মহামারী চলাকালীন গত কয়েক বছরে সোনার দর বৃদ্ধির কারণ ছিল এটি। সোনা বর্তমানে কয়েক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে লেনদেন করছে। আসছে উৎসবের মরসুমে চাহিদা বাড়ার কারণে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন সোনা-রুপোয় বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে।