আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল লাইফ ইনশিওরেন্স নতুন ব্যবসা এবং লাভের ক্ষেত্রে আর্থিক বর্ষ ২০২২-এর প্রথম কোয়ার্টারে জোরালো বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এই বৃদ্ধি ঘটেছে উদ্ভাবনীমূলক প্রোডাক্ট, জোরালো সরবরাহ নেটওয়ার্ক, শক্তিশালী টেকনোলজি আর্কিটেকচার এবং উন্নততর গ্রাহক পরিষেবার ফলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই কোয়ার্টারে কোম্পানি নিউ বিজনেস সাম অ্যাশিওর্ডে ১৪.৭% শেয়ার সহ সামগ্রিকভাবে বাজারে প্রথম স্থানও দখল করেছে।
কোম্পানি তার ভ্যালু অফ নিউ বিজনেসে (VNB) ৭৮%-এর জোরালো বৃদ্ধি ঘটিয়ে ৩৫৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই পরিসংখ্যান থেকে কোনো জীবন বিমা কোম্পানি কতটা লাভজনক তার সঠিক আন্দাজ পাওয়া যায়। কোম্পানির নিউ বিজনেসে পাওয়া প্রিমিয়ামও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭১% বেড়ে ২,৫৫৯ কোটিতে পৌঁছেছে। এ থেকে ব্যবসার জোরালো বৃদ্ধি বিশেষ করে বোঝা যায়।
আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল লাইফ ইনশিওরেন্সের চিফ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার অমিত পাল্টা বলেন, “আমরা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এবং এই সময়কালে আমরা প্রয়োজনের সময় আমাদের গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানোর উপর জোর দিয়েছি। গত ২০ বছর ধরে আমরা গ্রাহকদের বিশ্বাস রক্ষায় এবং তাঁদের ও তাঁদের পরিবারগুলোকে আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার কাজে প্রথম সারিতে থেকেছি।”
অমিত পাল্টা বলেন, “২০২২ আর্থিক বর্ষের প্রথম কোয়ার্টারে আমাদের VNB বেড়েছে ৭৮% এবং আমাদের নিউ বিজনেস প্রিমিয়াম বেড়েছে ৭১%, যা লাভ এবং কর্মদক্ষতা, দুটোরই ইঙ্গিত। উল্লেখযোগ্যভাবে আমরা নিউ বিজনেস সাম অ্যাশিওর্ডের দিক থেকে সার্বিকভাবে বাজারের নেতাও বটে। এতে আমাদের শেয়ার ১৪.৭%। ইকুইটি অ্যাসেটস আন্ডার ম্যানেজমেন্টও ৩১% বেড়েছে এবং এখন ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাছে এই সার্বিক বৃদ্ধি আমাদের উপর গ্রাহকদের বিশ্বাসের লক্ষণ। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা আমাদের গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করেছি দাবিগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির কারণে।
প্রথম কোয়ার্টারে আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্যের কারণে বেশি কোভিড-১৯ জনিত দাবির নিষ্পত্তি করেছি। আমরা প্রায় ৫০০ কোটি টাকার একটা অতিরিক্ত তহবিলও সরিয়ে রেখেছি কোভিড-১৯ জনিত আগামী দাবিগুলোর নিষ্পত্তির জন্য। সব মিলিয়ে আমরা ২,২৭৮ কোটি টাকার দাবির নিষ্পত্তি করেছি। আমাদের সলভেন্সি রেশিও ১৯৪%, যা নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ১৫০%-এর থেকে অনেক বেশি। এটা গ্রাহকদের দাবি মেটাতে আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ।”