Multibagger IPO: ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ে (IPO) বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটা একটা ব্যবসার মত হয়ে গেছে। অনেক আইপিও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের বাম্পার মুনাফা দিয়েছে। একই সময়ে, কিছু আইপিও রয়েছে যা বিনিয়োগকারীদের দেউলিয়া করেছে। অর্থাৎ এসব আইপিওতে বিনিয়োগ করার সময় তারা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তা কোনো রিটার্ন পায়নি বা তা আরও কম ছিল। কিন্তু আজ আমরা আপনাকে এমন একটি আইপিও সম্পর্কে বলব যা দুই মাসেরও কম সময়ে বিনিয়োগকারীদের অর্থ প্রায় চারগুণ করে দিয়েছে।
৭৫ টাকার প্রাইস ব্যান্ডে ইস্যু করা হয়েছিল
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এই আইপিও বিনিয়োগকারীদের বাম্পার আয়ের সুযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে। এই শেয়ারটি Bondada Engineering (Bondada Engineering IPO) কোম্পানির অন্তর্গত। Bondada Engineering-এর IPO ২০২৩ সালের আগস্টে ৭৫ টাকার প্রাইস ব্যান্ডে জারি করা হয়েছিল। এর পরে, এটি ৯০ শতাংশ প্রিমিয়াম সহ ৩০ অগাস্ট ২০২৩-এ BSE SME প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। আপনি যদি এই শেয়ারটি তালিকাভুক্তির পরেও বিনিয়োগ করতেন, তাহলেও আপনি প্রচুর মুনাফা কামাতেন।
তালিকাভুক্তির পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছে এই শেয়ারের দর
এই শেয়ারের দাম। এই স্টকটি বৃহস্পতিবার বিএসইতে ২৫৯.৬০ টাকার স্তরে বন্ধ হয়েছে। এর পরে, শুক্রবার সকালে এটি ২৭১ টাকায় খোলে। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে ট্রেডিং সেশনে শেয়ারটি ২৬৮.৯৫ টাকার স্তরে লেনদেন হতে দেখা যায়।
BSE-তে শেয়ার প্রতি ১৪২.৫০ টাকায় তালিকাভুক্ত
যখন কোম্পানি ২০২৩ সালের অগাস্টে IPO জারি করেছিল, তখন এর ইস্যু মূল্য ছিল ৭৫ টাকা। কোম্পানিটি ১৬০০ শেয়ারের লট সাইজ নির্ধারণ করেছিল। তার মানে, একটি লটের জন্য বিড করতে একজনকে ১৬০০ x ৭৫= ১.২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছিল। কোম্পানির ১৬০০টি শেয়ারের লট সাইজ চূড়ান্ত করা বিনিয়োগকারী আজ বাম্পার লাভের মুখ দেখেছেন। তালিকাভুক্তির সময় এই শেয়ারটি BSE SME-এ শেয়ার প্রতি ১৪২.৫০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তার মানে, একই দিনে এই শেয়ারের দর প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
শেয়ারবাজারে শক্তিশালী তালিকাভুক্তির পরও যদি কেউ বিনিয়োগ করতো তাহলে বিপুল লাভ হতো। এখন এই শেয়ারটি ২৬৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। আজ এই হারে ১৬০০টি শেয়ারের মূল্য ১৬০০ x ২৬৮.৯৫= ৪,৩০,৩২০ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, ১.২০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ বেড়ে ৪.৩০ লক্ষ টাকা হয়েছে। এভাবেই এই আইপিওর থেকে শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৩০০ শতাংশ মুনাফা কামিয়েছেন।