আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করার শেষ সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২৪। আয়কর বিভাগ (Income Tax DEpartment) সমস্ত করদাতাদের জন্য আইটিআর ফাইল করা বাধ্যতামূলক করেছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সরকার আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছে না। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি জরিমানা না দিয়ে আইটিআর ফাইল করতে চান তবে ৩১ জুলাইয়ের আগে আইটিআর ফাইল করতে হবে। তারপর জরিমানা দিতে হবে। একইসঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি সেই ক্ষমতা রয়েছে আয়কর বিভাগের।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ এর জন্য ৩১ জুলাইয়ের আগে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আইটিআর ফাইল করলে অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। এছাড়াও ভিসা আবেদন এবং ঋণ নেওয়ার সুবিধেও মিলতে পারে। যদি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ITR দাখিল না করা হয়, তাহলে ধারা ২৩৪A এর অধীনে সুদ এবং ধারা ২৩৪AF এর অধীনে জরিমানাও আরোপ করা যেতে পারে।
আইকর আইন অনুসারে যদি আপনি সময়সীমার পরে আইকর ফাইল করেন তাহলে জরিমানা দিতে হবে। করের সুদ-সহ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত আইটিআর ফাইল করা যেতে পারে। এই তারিখের পরে আর আইটিআর ফাইল করার সুযোগ থাকবে না। এর পর শর্তসাপেক্ষে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে আয়কর বিভাগ।
জরিমানা কত হবে?
যদি দেরিতে আইটিআর ফাইল করেন, তাহলে সুদও দিতে হবে। দেরিতে আইটিআর ফাইলিংয়ের জন্য করদাতাদের ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। আর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে আইটিআর ফাইল না করা হয়, তাহলে আয়কর বিভাগ করদাতাদের একটি নোটিশ পাঠাতে পারে। এরপর করদাতাদের করের পরিমাণের ওপর ৫০ থেকে ২০০ শতাংশ জরিমানা করা যেতে পারে। নির্ধারিত তারিখ থেকে রিটার্ন দাখিল করা পর্যন্ত করের পরিমাণের উপর সুদ নেওয়া যেতে পারে।
আবার কোনও কোনও পরিস্থিতিতে করদাতাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা করে থাকে আয়কর বিভাগ। সেই ক্ষমতা তাদের রয়েছে। যদি কেউ আইটিআর আইটিআর ফাইলিং না করে তাহলে ৬ মাস থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই অধিকার আয়কর বিভাগের রয়েছে। তবে এর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। আয়কর বিভাগ শুধুমাত্র তখনই কারও বিরুদ্ধে জেলের আবেদন করতে পারে যখন সেই ব্যক্তিক করের অঙ্কটা ১০ হাজার টাকার বেশি হয়।