রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) বৃহস্পতিবার তার বার্ষিক আর্থিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ব্যালেন্স শিট পাকিস্তানের মোট জিডিপি-র চেয়ে আড়াই গুণ বেড়েছে। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত আরবিআই-এর ব্যালেন্স শিটের আকার ১১% বেড়ে ৭০.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা (প্রায় ৮৪৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার) হয়েছে।
যেখানে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) পাকিস্তানের জিডিপি প্রায় ৩৩৮.২৪ বিলিয়ন অনুমান করেছে। আগের আর্থিক বছরে (FY23) আরবিআই-এর ব্যালেন্স শিট ছিল ৬৩.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে যে তার ব্যালেন্স শিট এখন প্রাক-মহামারী স্তরে স্বাভাবিক হয়েছে। এটি ভারতের জিডিপির ২০২৩ সালের মার্চের শেষে ২৩.৫%-র থেকে ২০২৪ সালের মার্চের শেষে ২৪.১% এ বেড়েছে, যা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে RBI-এর আয় FY24-এ ১৭.০৪% বেড়েছে, যখন এর ব্যয় ৫৬.৩০% কমেছে। ফলস্বরূপ, RBI-এর উদ্বৃত্ত FY24-এ বার্ষিক ভিত্তিতে ১৪১.২৩% বেড়ে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। এই উদ্বৃত্ত সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, RBI FY24-এ কন্টিজেন্সি ফান্ডের জন্য ৪২,৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
আরবিআই ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে আশাবাদীও রয়েছে। তারা বলেছে সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলি শক্তিশালী হওয়ার কারণে ভারতের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি উজ্জ্বল হবে। যদিও তারা আরও উল্লেখ করেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি উদ্বেগ হিসাবে রয়ে গেছে, যা অর্থনীতির বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রতিবেদনে আরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে মুদ্রাস্ফীতি কমলেই ভোগ্য পণ্যের চাহিদাকে বাড়াবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ওঠানামা থেকে রক্ষা করবে।