Advertisement

রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক, জিডিপি নিয়ে আশঙ্কা

আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন কমিটির তরফে ভোট দিয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবেই নেওয়া হয়েছে।

আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 09 Oct 2020,
  • अपडेटेड 10:22 PM IST
  • রেপো রেট চার শতাংশই থাকল
  • অদূর ভবিষ্যতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ
  • অর্থবছরে ভারতের জিডিপি ৯.৫ শতাংশ কমবে

করোনা অতিমারীর মধ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে উপযুক্ত নীতিগত বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে গভর্নর জানান কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারতীয় অর্থনীতি একটি 'সিদ্ধান্তমূলক পর্যায়ে' প্রবেশ করেছে।  

শুক্রবার, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে  রেপো রেট চার শতাংশই অর্থাৎ অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন কমিটির তরফে ভোট দিয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবেই নেওয়া হয়েছে। 

এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শক্তিকান্ত দাস বলেন, করোনা ভাইরাস অতিমারীজনিত কারণে বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে ফলে চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি ৯.৫ শতাংশ কমে যাবে। প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সংকোচন আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। তবে জিডিপি বৃদ্ধি পেলে ফের আগের অবস্থানে ফিরবে অর্থনীতি। চলতি অর্থবর্ষে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ইতিবাচক অবস্থানে ফিরতে পারে দেশের আর্থিক ক্ষেত্র।" 

রেপো রেট আসলে কী?

যে সুদের হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়, তাকেই রেপো রেট বলে। নিম্নগামী রেপো রেট ব্যাঙ্কের সুদের ওপর একটা নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করে। রেপো রেট কমে গেলে ব্যাঙ্কগুলোর সামনে কম সুদে ধার পাওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটা আর্থিক নীতিনির্ধারক কমিটি আছে। তিন মাস অন্তর মিটিং করে সুদের হার নির্ধারণ করেন তাঁরা।

তিন নতুন সদস্য শশাঙ্ক ভিড়ে, অসীমা গোয়েল এবং জয়ন্ত আর ভার্মাকে অন্তর্ভুক্ত করার পর এই সপ্তাহে ছয় সদস্যের এই মনেটারি কমিটির বৈঠক হয়। এমকে ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের রিসার্চ প্রধান ডা: জোসেফ থমাস বলেন, “আরবিআইয়ের নীতি প্রত্যাশিত লাইনেই রয়েছে। কারণ এটি রেপো রেটকে অপরিবর্তিত রাখছে এবং পলিসির অবস্থান স্থিতিশীল রাখছে। অদূর ভবিষ্যতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনা করে আরবিআইয়ের এই রেট কমানোর সম্ভাবনা বেশ কম রয়েছে আগামীতেও।”

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement