চালের দাম কমানোর ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। বাসমতি চাল ছাড়া সব ধরনের চাল (নন-বাসমতি সাদা চাল) রফতানি নিষিদ্ধ করা হল। আসন্ন উৎসবের মরসুমে দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি এবং খুচরা মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বাসমতি চালের চালের রফতানি নীতিতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। অর্থাৎ বাসমতি ছাড়া বাকি চালের রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ভারত থেকে বাসমতি চাল রফতানিই বেশি হয়।
দেশীয় বাজারে দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসমতি ছাড়া সাদা চাল রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত কয়েকদিনে চালের দাম বেড়েছে। এ মাসেই চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে চাল রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যে চাল জাহাজে লোডিং শুরু হয়েছে তা রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া যে সব ক্ষেত্রে সরকার অন্যান্য দেশে চাল রফতানির অনুমতি দিয়েছে সে সব ক্ষেত্রেও অনুমতি দেওয়া হবে। সেই সব দেশের খাদ্য নিরাপত্তার চাহিদা বিবেচনায় সরকার এমন অনুমতি দিয়েছে। দেশে গত কয়েক বছরে খাবার ও পানীয়ের দাম অনেক বেড়েছে। বেশি বেড়েছে গম, চাল, দুধ ও সবজির দাম।
বলে রাখি,ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ। ২০২২-২৩ সালে ভারত থেকে বাসমতি ছাড়া সাদা চালের রফতানি ছিল ৪.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থ বছরে অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ছিল ২.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত থাইল্যান্ড, ইতালি, স্পেন, শ্রীলঙ্কা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি নন-বাসমতি সাদা চাল রফতানি করে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের প্রায় ১৫.৫৪ লাখ টন সাদা চাল রফতানি করা হয়েছে। যা আগের বছরে ছিল মাত্র ১১.৫৫ লাখ টন। অর্থাৎ গতবছরের ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
বন্যায় দেশের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় ধান চাষে ধাক্কা লেগেছে। এমন কয়েকটি রাজ্যও রয়েছে যেখানে গড়ের চেয়ে কম বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে যে সব রাজ্যে ধান সবচেয়ে বেশি হয় সেখানে বৃষ্টি কম হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মতো রাজ্যে কম ধান বপন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ একটি প্রধান ধান উৎপাদনকারী রাজ্য।