কোটিপতি হতে কে না চায়? তবে ভালো ইনকাম করলেও কোটিপতি হতে পারেন না অনেকে। আবার অনেকে কম রোজগার করেও বহু টাকা জমিয়ে ফেলেন। আপনিও যদি কোটিপতি হতে চান, তাহলেএকটি দুর্দান্ত ফর্মুলা মেনে চলতে হবে। আপনার ইনকাম যেমনই হোক না কেন, কোটিপতি হতে পারবেন।
কোটিপতি হওয়ার জন্য আপনাকে শুধু একটি নির্দিষ্ট স্কিমের অধীনে বিনিয়োগ করতে হবে। তারপরই বেশি টাকা টাকা উপার্জন শুরু হবে। সেটা হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা Systematic Investment Plan বা SIP। SIP-এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করতে পারবেন। মিউচুয়াল ফান্ডে ছোট ক্যাপ, মিড ক্যাপ এবং লার্জ ক্যাপে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। ধরুন আপনি যদি বড় ক্যাপে বিনিয়োগ করেন, তাহলে বার্ষিক সুদের হার ১২ থেকে ১২ শতাংশ বা তারও বেশি হতে পারে। একই সময়ে চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে অর্থও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট উপায়ে বিনিয়োগ করলেই ভালো পরিমাণ উপার্জন করা যেতে পারে। সেজন্য মানতে হবে একটা সূত্র। এরকম একটি সূত্র হল ১৫X১৫X১৫, যার অধীনে আপনাকে ১৫ বছরের জন্য যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে ১৫ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাওয়া যায়, তাহলে ১৫ বছর পর এই পরিমাণ কোটি টাকা হয়ে যাবে। SIP এর মাধ্যমে ১৫ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাওয়া কোনও বড় ব্যাপার নয়।
কোটি টাকা কীভাবে কামানো যাবে? আপনি যদি ১৫X১৫X১৫ এর সূত্রে মাসে ১৫ হাজার টাকা SIP-তে বিনিয়োগ করেন তাহলে ১৫ বছরে মোট বিনিয়োগ হবে ২৭,০০,০০০ টাকা৷ এখন যদি এই পরিমাণে বার্ষিক ১৫ শতাংশ সুদ যোগ করা হয়, তাহলে ১৫ বছরে মোট পরিমাণ হবে ৭৪,৫২,৯৪৬ টাকা। এইভাবে, বিনিয়োগের পরিমাণ এবং সুদের পরিমাণ ১৫ বছরে ১,০১,৫২,৯৪৬ টাকা হবে৷
তবে মনে রাখতে হবে সুদ যেমন বাড়তে পারে তেমনই কমতেও পারে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে রিটার্নের কোনও গ্যারান্টি নেই। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ মেয়াদে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রিটার্ন পেতে পারেন। যাইহোক, বিশেষজ্ঞরা গড় রিটার্ন ১২ থেকে ১৫ শতাংশ বলে মনে করেন। এই অনুসারে, আপনি যদি ১৫X১৫X১৫ ফর্মুলা অনুসরণ করেন তবে আপনিও কোটিপতি হতে পারেন, তবে আপনার সঠিক তহবিল নির্বাচন করা উচিত।