অতিমারী পরবর্তী পরিস্থিতিতে ২০২১-২২-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে নজর ছিল গোটা দেশের। আর্থিক ক্ষেত্রে দেশ যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে রয়েছে সে কথা মাথায় রেখেই অর্থমন্ত্রীর কাছে এবারের বাজেট পেশ করা চ্যালেঞ্জ ছিল বটেই। তবে আগামী অর্থবর্ষে কোন পথে চলবে দেশ সেই রাস্তা অনেকটাই সুগম করার চেষ্টা করছে নির্মলা সীতারামন। বাংলা ও আসামকে বিশেষ নজরে রাখা হলেও আয়করের ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা অধরাই রইল এবারের বাজেটে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এবারের বাজেটে কী কমল কী বাড়ল-
কী কী বাড়ল-
- জামাকাপড়, চামড়ার জিনিস, গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিদেশি মোবাইল, মোবাইল চার্জার। এই সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ল এবারের বাজেটে।
*পেট্রোল-ডিজেলে বসছে কৃষি সেস। ২.৫ টাকা ও ৪ টাকা কৃষি সেস বসানো হচ্ছে। অর্থাৎ জ্বালানিতে যে স্বস্তির আশ্বাস যে দেওয়া হচ্ছিল তা মিলল না মধ্যবিত্তের। অ্যালকোহল যুক্ত পানীয়গুলিতে ১০০ শতাংশ কৃষি সেস বসছে।
*সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির জন্য জমি থেকে অ-লাভজনক সরকারি সংস্থা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি এলআইসি-র শেয়ার বিক্রির কথাও জানান। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে দেশের বড় বন্দরগুলিও তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে সেই বিষয়টিও জানান হয়। আগামী অর্থবর্ষে এর মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।
*কাঁচামালের উপর কাস্টম ডিউটি কমানো হচ্ছে। মোবাইল ও চার্জারে ২.৫ শতাংশ এক্সপোর্ট চার্জ ধার্য করা হয়েছে। আয়রন-স্টেনসেল স্টিলের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হল। নাইলন ফাইবারের উপর, কেমিকেল শিল্প ও নাফতার উপর থেকে আমদানি শুল্ক কমানো হচ্ছে। সোনা ও রূপোর উপর আমদানি শুল্কে পরিবর্তন আনব। সোলার ল্যাম্পে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ বাড়ানো হল। ক্যানেল বোরিং মেশিনের কাস্টম ডিউটি বাড়নো হল। এমএসএমই তে তৈরি জিনিষে যেমন চামড়া ও সিন্থেটিক, তুলো, সিল্কে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে।
কী কী কমল-
*বিশেষ কিছু না কমলেও লৌহ-ইস্পাতের ওপর আমদানি শুল্ক, সোনা-রুপো-তামাজাত পণ্যের দাম কমল। গৃহঋণের সুদ কমানো হয়েছে।
*৭৫ বছর বা বেশি বয়স তাঁদের সুদের উপর সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হবে। জমা দিতে হবে না আয়কর রিটার্ন। পাশাপাশি গৃহঋণের সুদ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। এই সুবিধা মিলবে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত। নতুন ফ্ল্যাট কিনলে আয়করে ছাড়। শেয়ার ডিভিডেন্ট থেকে ট্যাক্স কাটা হবে না। এনআরআই-দের জন্য অডিট থেকে ছাড় পাবেন।