প্রায় তিন মাস অপেক্ষার পরও রাজ্যের ডিএ মামলা উঠল না সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল। তালিকার ৬০ নম্বরে রয়েছে মামলাটি। তবে ৪০ নম্বর মামলার পর সময় অভাবে আর কোনও মামলা ওঠেনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে মামলাটি ১১ বার শুনানির জন্য উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই ১২ তম শুনানির দিকে নজর ছিল রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মীদের। কিন্তু এদিন মামলা ওঠেনি। এই বিষয়ে সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী উদ্যম মুখোপাধ্যায় জানান, ৪০ নম্বর মামলা যখন ওঠে তখন বিকেল চারটে। তারপর আর কোনও মামলা নেননি বিচারপতিরা। সুতরাং মামলা যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গাতেই থাকল।
তাহলে এবার কী হবে? এই বিষয়ে উদ্যম মুখোপাধ্যায় আরও জানান, সাধারণত নিয়ম হল কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টের সময় অভাবে না উঠলে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তার তারিখ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি তাই হয় তাহলে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শুনানি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট হয়তো খুব শিগগিরই তারিখ দেবে।
এই মামলা নিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'সময়ের অভাবে আজ মামলা ওঠেনি। লাখ লাখ সরকারি কর্মচারী এই মামলার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। রাজ্য সরকার হাইকোর্ট ও স্যাটের নির্দেশ না মেনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের লক্ষ্য, সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা। সেই জন্য SLP দায়ের করেছে। এর আগে তারা মামলার তারিখ পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আজ যদিও মামলাটি ওঠেনি সুপ্রিম কোর্টের সময় অভাবে। তবে আমরা আশাবাদী, রাজ্য সরকারের SLP খারিজ করবে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারকে প্রাপ্য বকেয়া মেটাতেই হবে।'
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফে শ্যামল মিত্র বলেন, 'আমরা তো বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। রাজ্যের লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ এই ঝুলছে। অথচ মামলাটা উঠলই না। আমরা তো বলারই সুযোগ পাচ্ছি না সুপ্রিম কোর্টকে। এটা হতাশার।'
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কোর্টের তরফে। তবে ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। SLP দায়ের করে। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় ২৮ নভেম্বর। তারপর থেকে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছে। শুনানি একাধিকবার পিছিয়েছে।