দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন,রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। এটা ঐচ্ছিক। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। এবার তাঁরা নিলেন চরম পদক্ষেপ। যার জেরে সরকারি কর্মীদের আশা, তাঁরা বকেয়া ডিএ পেয়ে যাবেন।
আসলে আজ রবিবার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ-র দাবিতে তাঁরা এবার নবান্ন অভিযান করবেন। হাওড়া পুলিশ এর অনুমতি না দিলেও তাঁরা ধরনা, অবস্থান করবেন। ১৯ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্নের সামনে ধরনা চালাবেন। আর তা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এখানেই শেষ নয়। ডিএ-র দাবিতেই জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতায় মহামিছিলের আয়োজন করা হবে। সেই মিছিলে রাজ্যের সমস্ত শ্রেণীর কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আবার সেই মাসের শেষ সপ্তাহে লাগাতার তিন দিন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়, সেই ধর্মঘটে সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এই কর্মসূচি নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় আমরা বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য দিনের পর দিন দাবি করে আসছি। সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে নবান্নে বৈঠক করেছি। কিন্তু তারপরও সমাধান অধরা। সেই কারণে নবান্ন অভিযান ও বনধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। সরকার যদি এর মধ্যে বকেয়া দেয়, তাহলে ভালো। না হলে আমাদের কাছে তো এই পথটাই খোলা আছে।'
এদিকে সরকার বিরোধী এই কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের টনক নড়বে বলে মনে করছেন সরকারি কর্মীরা। কারণ, নবান্ন অভিযান ও লাগাতার বনধ করলে সরকারি কাজকর্মে তার প্রভাব পড়বে। তার উপর জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় সরকার ফের ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মীরা পাবেন ৫০ শতাংশ। রাজ্যের মাত্র ৬ শতাংশ।
আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে ডিএ ইস্যুতে চাপ বাড়বে রাজ্য সরকারের উপর। কারণ, ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই আন্দোলনের ঝাঁঝ জোরালো করবে সরকারি কর্মীরা। এমতাবস্থায় অল্প হলেও ডিএ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের তরফে।