আবার ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সিভিক ভলান্টিয়ার, আশাকর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে ডিএ বাড়ানো হবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের সভা থেকে বলেন, 'কেন্দ্রের পলিসি চিরোতার থেকেও তেতো। আশা কর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। আপনাদের টাকা বন্ধ করেছিল কেন্দ্র। অনান্য কাজে আপনাদের কাজ করায়। আইসিডিএস-এর ক্ষেত্রে এখন আমাদের এখানকার কর্মীদের জন্য এখন আমরা ৬০ শতাংশ টাকা দিই। মিডডেমিলের কর্মীদের ২০০০ টাকা করেছি। সিভিক পুলিশদের বেতন হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্যও টাকা বাড়িয়েছি। আবার ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা মে মাসে। এগুলো ঘোষণা করেছি।'
প্রসঙ্গত, রাজ্য বাজেটের দিনই ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এতদিন ১০ শতাংশ ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এবার থেকে তাঁরা ১৪ শতাংশ হারে পাবেন। আবার বৃদ্ধি পেল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ। মে মাস থেকে আরও ৪ শতাংশ ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। সেদিন ওই ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, আরও ৪ শতাংশ ডিএ বেড়ে গেল। এর আগে জানুয়ারি মাস থেকে ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আগামী মে মাস থেকে তাঁরা পাবেন ১৪ শতাংশ করে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিধানসভা বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিধানসভায় মূল যে নথি দেখে বাজেট ঘোষণা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাতে ডিএ বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে একটি চিরকূট দেন। সেই চিরকূট চন্দ্রিমার হাতে দেন অরূপ। তারপরই ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়, এটা রাজ্যের ঐচ্ছিক বিষয়। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'ডিএ নিশ্চিতভাবে অধিকার।' ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। আবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। সেই সময় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শোভনদেবের এই মন্তব্য নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি।