আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে যাচ্ছে রাজ্যে। এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন তিনি।
ঠিক কী কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বলেন, 'যে সব জায়গায় দুয়ারে সরকার ভোটের জন্য করা যায়নি সেখানে দুয়ারে সরকার হবে।'
'৪ তারিখে কালীপুজো। ৬ তারিখে ভাইফোঁটা। ১০ আর ১১ তারিখ ছট পুজো। ১৩ তারিখে জগদ্ধাত্রী পুজো। তোমাকে যা করতে হবে ১৫ তারিখ থেকে করতে হবে। স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারেও ১৫ তারিখ থেকেই করে দাও।' পরে যদিও এটি ১৬ তারিখ করা হয়। কোন কোন ক্লাস খুলবে তা নিয়েও একটা ধোঁয়াশা ছিল। বৈঠক শেষে তাও পরিষ্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুযাদের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর স্কুল খুলে যাচ্ছে। বাকি ক্লাসের পড়ুয়াদের সশরীরে ক্লাসে এখনই যেতে হচ্ছে না। অর্থাৎ অনলাইনেই ক্লাস হবে।
'তার আগে স্কুল কলেজগুলি পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলিও মাথায় রাখতে হবে।' প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল ভবনগুলি সারাইয়ে জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুল মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
তবে কীভাবে পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে কি না সেই বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ধাপে ধাপে পড়ুয়াদের স্কুলে আনা হতে পারে।
তবে সেই বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি রাজ্য সরকারের তরফে। কলেজের ক্ষেত্রেও সব ক্লাস খুললেও কোনদিন কোন ক্লাস হবে ইত্যাদি নিয়ে জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর পর থেকে এই মুহূর্তে কলকাতা ও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। দৈনিক প্রায় হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
এই অবস্থায় কালীপুজোর পর স্কুল খোলার পরিস্থিতি কতটা অনুকূল থাকবে, বা স্কুল খোলা উচিত কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।