পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা আরও বাড়াতে হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এই আবেদন জানিয়েছে কলকাতার বেশ কয়েকটি কলেজ। স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ৩০ নভেম্বর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তেমনই নির্দেশ দিয়েছিল কলেজগুলিকে।
বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টাল রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় তথ্য আপলোড করে ফেলতে হবে। কিন্তু বেশ কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই সময়সীমার মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার কাজ প্রায় অসম্ভব।
কেন সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা? কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষ তা ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নথিপত্র কী ভাবে যাচাই করা হবে, তা তাঁদের ১৩ নভেম্বরের আগে জানানো হয়নি। এখন হাতে সময় কম। তাই বেশি সময় দরকার। না হলে তো এই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারব না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলে আশা করছি যাবতীয় তথ্য ওয়েব পোর্টালে আপলোড করে দিতে পারব।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, পড়ুয়াদের জমা দেওয়া কোনও নথিপত্রে কোনও ভুল থাকলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে।
প্রথমে ঠিক ছিল, অফলাইনে নথিপত্র যাচাই করা হবে। সেগুলি যাচাই করে দেখা হবে পরে। ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে জানানো হয়, পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে হবে এবং পড়ুয়াদের সুগুলি সেল্ফ অ্যাটেস্টেড করে দিতে হবে।
আর এই জন্যই বাড়তি সময় চেয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, নতুন করে আবার নতুন নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। ফলে বাড়তি সময় তো লাগবেই। না হলে এই কাজ শেষ করা যাবে না। আর অন্যদিকে কোনও ক্লাসে ৭০ জন ভর্তি হয়েছেন। ক্লাস করছেন ৫০ জন, ১০ জন অন্য কোনও কলেজে চলে গিয়েছেন। কিন্তু বাকি এমন ১০ জন রয়েছেন, যাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বাড়তি সময় চেয়েছি।