উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন যেন কোনওভাবেই ফাঁস না হয়। আপাতত এটাই মূল লক্ষ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে নয়া পন্থাও নিয়েছেন কর্তারা। এবার থেকে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে একটি ইউনিক কোড থাকবে। উত্তরপত্রে সেই সিরিয়াল কোডটা লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
এতে কী লাভ হবে?
পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিদর্শকরা যখন উত্তরপত্র দেখবেন, তখনই তাঁরা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে উত্তরপত্রে লেখা নম্বরটা মিলিয়ে নেবেন। এর ফলে কারচুপি সঙ্গে সঙ্গেই রুখে দেওয়া যাবে।
উচ্চমাধ্যমিকের রুটিন
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষার পরীক্ষা হবে। ১৭ তারিখ ভোকেশনাল। এরপর ১৯ তারিখ দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা হবে।
নতুন কিছু নয়...
এটা একেবারে নতুন কোনও কনসেপ্ট নয়। বিভিন্ন জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও জালিয়াতি রুখতে এমন ইউনিক কোডের ব্যবহার করা হয়। যেমন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও এমন কোড ছাপা থাকে প্রশ্নপত্রে। তবে উচ্চমাধ্যমিকে এই প্রথম এমনটা করা হচ্ছে।
মাধ্যমিকেও নিয়মের কড়াকড়ি
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণেই এবার নজরদারিতে কোনও খামতি রাখছেন না পর্ষদের কর্তারা। চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও একইভাবে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। কড়াকড়ি এতটাই বেশি যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জলের বোতল নিয়েও হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যবস্থা করা হয়েছে প্যাকেজড পানীয় জলের। এছাড়া ফাইল, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, পেন ড্রাইভ, লগ টেবিল, বৈদ্যুতিন পেন/স্ক্যানার, কার্ডবোর্ড, জলের বোতল, মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ ইয়ারবাড নিয়েও প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।