১ জুন থেকে হচ্ছে না মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৫ জুন থেকে হবে না উচ্চমাধ্যমিকও। তবে এখনই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হচ্ছে না। পরবর্তীতে কবে হবে তা পরে ঘোষণা করা হবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা ফের পিছোল, পরে জানানো হবে দিনক্ষণ
মাধ্যমিক পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কোন মূল্যেই বাতিল করতে চাইছে না শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা সম্ভব নয়। তাই আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে কথা বলব। তারপরই পরীক্ষার তারিখ নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে সিদ্ধান্ত হবে, ঠিক কবে পরীক্ষা নেওয়া যায়।
ব্রাত্য উবাচ
ব্রাত্য বাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাদা করে কথা বলতে হবে। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে কোনও মতেই পরীক্ষা সম্ভব নয়। তাই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে আমাদের পরীক্ষা বাতিলের কোনরকম ইচ্ছে নেই।
আশাবাদী শিক্ষা দফতর
পাশাপাশি রাজ্য সংক্রমণের হার ক্রমশ কমছে বলে শিক্ষা মন্ত্রী দাবি করেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি আশাবাদী দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে। এ বিষয়ে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞদের জুনের শেষের দিকে করোনা প্রকোপ কমবে বলে দাবির উপরই বিশ্বাস রাখছে রাজ্য।
স্কুলগুলিতে সেফ হোম ও আইসোলেশন
বিভিন্ন স্কুলে আইসোলেশন সেন্টার করার এবং সেভ হোম তৈরি করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। তবে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়ে দেন, জেলাশাসক এর মাধ্যমে স্কুলগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন স্কুলে করা সম্ভব এবং কোন স্কুলে নয় সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
জুন মাসে পরীক্ষা নয় আগেই ঠিক হয়েছে
এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে যেহেতু রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি রয়েছে সে ক্ষেত্রে তারপর জুন মাসে আচমকা পরীক্ষা সম্ভব নয়।
২০২০ থেকেই বিঘ্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১ জুন থেকে মাধ্যমিক ও ১৫ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেও উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা বাকি ছিল। পরে আগের পরীক্ষার মধ্যে সেরা নম্বরের ভিত্তিতে পরবর্তী পরীক্ষাগুলিতে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এর আগে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১ জুন করা হয়েছিল। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন।