কেউ টাইলস ব্যবসায়ী। আবার কারও রয়েছে সাইবার ক্যাফে। তবে তাঁরাও পেয়েছেন মেধাবৃত্তি। এমনই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় উত্তর দিনাজপুর। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার।
বিষয়টির কথা মেনে নিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, দলকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। স্থানীয় একদল যুবক বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিল।
কী অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে খবর, সংখ্যালঘু মেধাবৃত্তি দেওয়া নিয়ে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা যোগ্য নন, যাঁরা পড়ুয়া নন, এমন কয়েকজন পেয়েছেন সংখ্যালঘু মেধাবৃত্তি। এবং পর পর বেশ কয়েক বার। এ ব্যাপারে জেলাশাসক, স্থানীয় বিডিও-র কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নামের তালিকা তো যাওয়ার কথা স্কুলের তরফ থেকে। স্কুল কী সেগুলি দেখছে না? অভিযোগ উঠেছে, এই কাজে কোনও কোনও স্কুলের দু-একজন যুক্ত রয়েছেন।
মঙ্গলবার সেখানকার এক সমাজকর্মী মীর সেলিম অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। যে পড়ুয়াদের পাওয়ার কথা,তাঁরা পাননি। বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন, এমন মানুষও সেই মেধাবৃত্তি পাচ্ছেন।
তাঁর আরও অভিযোগ, ভুয়ো নথি তৈরি করা হয়েছে। পড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে ওই টাকা তোলা হয়েছে। শ'চারেক এমন ঘটনা রয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
তাঁর আরও দাবি, অভিযুক্তদের তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো, জালি তথ্য দিয়েছেন। এমন একটা চক্র চলছে। আর এই কারণে যোগ্য পড়ুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় এক তৃণমূলে নেতার দাবি, দলকে সব জানানো হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেছিলেন। জানতে পারছি, এখন তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করা হয়েছে। চেষ্টা করছি বন্ধ করার।
জানা গিয়েছে, অভিযোগ, ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ভুয়ো নথি দেখিয়ে নিজেকে নবম শ্রেণীর ছাত্র বলে দাবি করেছেন। মেধাবৃত্তি পেয়েছেন। আবার তার ভাই-ও বৃত্তি পেয়েছেন। তারা আদতে ব্যবসায়ী। এমন আরও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্য়াপারে রাজ্য সংখ্য়ালঘু উন্নয়ন দফতরের সচিব পি বি সেলিম জানান, এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠির ভিত্তিতে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। সব যোগ্য প্রার্থীই মেধাবৃত্তি পাবেন। করনদিঘির বিডিও নীতিশ তামাং জানান, তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।