সাম্প্রতিক সময়ে, সরকারি সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা উচ্চ শিক্ষার ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছে। এরজন্য যুগান্তকারী নতুন নীতি অনুমোদন করা হতে পারে। এই উদ্যোগটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করবে।
প্রকল্পের অংশ হিসাবে, প্রাপকরা ৩% সুদের ভর্তুকি থেকে উপকৃত হবেন যার লক্ষ্য উচ্চ শিক্ষাকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলা। এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উৎসাহ প্রদান পদক্ষেপ হবে। এই প্রোগ্রামটি প্রতি বছর এক লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ই-ভাউচার প্রদান করবে।
এই উদ্যোগের ঘোষণাটি প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেটে করা হয়েছিল। শিক্ষার সুযোগগুলি উন্নত করার জন্য এবং সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য সরকার এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর নীতির বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বিশদে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাতেও এমন একটি প্রকল্প রয়েছে। মেধা এবং যোগ্যতা থাকলেও স্রেফ টাকার জন্য অনেকের পড়াশোনা আটকে যায়। ভালো রেজাল্ট করলে বা মেডিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ার সুযোগ পেলেও শুধুমাত্র টাকার জন্য চিন্তা করতে হয় অনেককেই। অর্থের অভাবে পড়ার খরচ জোগাড় করতে হয় নানারকম দুশ্চিন্তা। এই সমস্যা যাতে না হয় এবং আর্থিক সংকট যাতে পড়াশোনা বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই রাজ্যে শুরু করা হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নামে প্রকল্প।
কিছু ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় তা সব সময় সবার পক্ষে বহন করার সামর্থ্য হয় না। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। অর্থের জন্য যাতে কারও পড়াশোনা না বন্ধ হয়ে যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন রাজ্যে চালু স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ঋণ হিসাবে পাওয়া যায়। এই প্রকল্প চালু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে যাতে কোনও পড়ুয়ার স্বপ্নের মৃত্যু না হয় এবং তিনি উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়েই এই প্রকল্প চালু হয়েছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এ পড়ুয়াদের যে ঋণ দেওয়া হয় তার গ্যারেন্টার হিসাবে থাকবে রাজ্য সরকার। এবার সেই পথেই এগোতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারও।