Advertisement

Visva-Bharati University Protest : 'VC সরুন,' গুগল ফর্মে জনমত সংগ্রহ শুরু বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের

Visva-Bharati University Protest: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাই। এই দাবিতে গুগল ফর্মের মাধ্যমে জনমত সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। দাবি পূরণে বড়সড় আন্দোলনের দিকে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 May 2022,
  • अपडेटेड 6:12 PM IST
  • বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাই
  • এই দাবিতে গুগল ফর্মের মাধ্যমে জনমত সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন পড়ুয়াদের একাংশ
  • দাবি পূরণে বড়সড় আন্দোলনের দিকে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাই। এই দাবিতে গুগল ফর্মের মাধ্যমে জনমত সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। দাবি পূরণে বড়সড় আন্দোলনের দিকে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

একগুচ্ছ অভিযোগ
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট কোনও সংগঠন এটা করছে না। সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ৩-৪ বছর হয়ে গেল। উপাচার্য একটার পর একটা যা খুশি করে যাচ্ছেন। কোনও আলাপ-আলোচনা নেই। গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা নিয়ে তাঁর কোনও ভাবনা নেই।

একের পর এক শোকজ, রাস্টিকেট, টার্মিনেট করে যাচ্ছেন। মাইনে কেটে নিচ্ছেন। এই করে যাচ্ছেন। ভেবেছিলাম এবার হয় তো উনি শুধরে যাবেন। আবার দেখলাম বেশ কয়েকজন অধ্যাপককে শোকজ করেছেন। একজনকে সাসপেন্ড করেছেন। একটা বিশ্ববিদ্য়ালয় এভাবে চলতে পারে না। 

আরও পড়ুন: ঝমঝমিয়ে লোকাল চলতেই ফের জায়গা দখল ওদের! বাড়ছে কদর 

আরও পড়ুন: নবদ্বীপের চরকি, সবংয়ের গাছবোমা-জলবোমা, কোন এলাকায় কোন বাজি বিখ্য়াত? 

আরও পড়ুন: তুলাইপাঞ্জি আর বাঁশকাঠি চালে ধামাকা অফার দিচ্ছে রাজ্য, মিলবে Whatsapp-এ 

ক্ষমতার অপব্য়বহারের অভিযোগ
তাঁদের আরও অভিযোগ, এখানে সবার জীবন বিপন্ন। আর আমরা বসে দেখব, এটা তো হতে পারে না। উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সবার জীবন বিপন্ন করবেন। এটা আমরা বসে বসে দেখব, তা হবে না।

আন্দোলনকারীদের দাবি, এই প্রতিষ্ঠান আগেও চলেছে। এখন আজগুবি কাজকর্ম চলছে। কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। তখন তাঁর বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্য়বস্থা নেওয়া হচ্ছে। গোটা পৃথিবীতে কোথাও হয় না। তাঁবেদার বাহিনী দিয়ে তদন্ত করিয়ে সাসপেন্ড, টার্মিনেট করে দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনও তদন্ত কমিটি বিপক্ষে রিপোর্ট দেয়, তা হলে তিনি সেই কমিটি ভেঙে দিচ্ছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। 

Advertisement

তাঁদের ক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালর জন্য কিছু করেননি। তিনি যদি মনে করেন ঠিক, তা হলে ঠিক, ভুল হলে ভুল। বিরুদ্ধ মত হলে শেষ করে দেবেন। হয় উনি থাকবেন, না হয় আমরা থাকব। আমরা তো বিশ্বভারতীর অংশ। প্রতিটা ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীয় ঐতিহ্য ধ্বংস করেছেন। তাঁর আর থাকার কোনও দরকার আছে বলে আমরা মনে করছি না। তাঁকে তাড়াতেই বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতনে শান্তি ফিরে আসবে।

সাড়া মিলছে, দাবি তাঁদের
বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০০-২৫০ জন ইতিমধ্যে সেই ফর্ম ফিল আপ করেছেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে আরও কথা বলব। একে যত সময় দেব, তত ক্ষতি করে যাবেন। একের পর এক অধ্যাপককে শাস্তি দিচ্ছেন। এতে তো ক্ষতি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।

অধ্যাপকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন, তখন তিনি বলছেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, উত্তর দাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বলাই মানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বলা। তার বিরুদ্ধে কী বলা যাবে না

আন্দোলনকারীদের পক্ষে সোমনাথ সৌ জানান, বিষয়টা শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী ভাল অবস্থায় থাকুক, ঠিকঠাক থাকুক,তা নিয়ে। আর একই সময়ে এই উপাচার্য থাকুন- দু'টো একসঙ্গে থাকতে পারে না। লেখাপড়া, সংস্কৃতির পরিবশ, ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উপাচার্যকে চলে যেতে হবে। যা কিছু হারিয়েছি, তা ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়ছে। তাঁর ভূমিকা অপরাধীর থেকেও নিম্নতর। তিনি উপাচার্যের পদে থাকবেন, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement