এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলার জয়জয়কার। বুধবার ১টায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফলপ্রকাশ করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। এ বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় পরীক্ষা। তার ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফল। আর ফলপ্রকাশ হতেই দেখা গেল, মেধাতালিকায় জেলার রমরমা। প্রথম তিনে নেই কলকাতা।
পাশের হারেও এগিয়ে জেলা। পাঁচের মধ্যে প্রথম চারটিই জেলা। পাশে হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। সেই জেলায় পাশের হার ৯৫.৭৭%। দ্বিতীয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৯২.৮%। তারপর তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে যথাক্রমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও কালিম্পং। পাশের হার ৯২.৭৮ এবং ৯২.৫১%। ৯২.১৩% পাশের হার নিয়ে পঞ্চম স্থানে কলকাতা।
এ বছর প্রথম দশে ঠাঁই পেয়েছে ৫৮ জন পড়ুয়া। প্রথম দশেও এগিয়ে জেলা। এর মধ্যে বাকিদের টেক্কা দিয়েছে হুগলি।
- হুগলিতে ১৩ জন আছেন প্রথম দশে।
- দ্বিতীয় বাঁকুড়া। প্রথম দশে আছে ৯ জন।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় যথাক্রমে ৭ ও ৫ জন আছেন প্রথম দশে।
- ৪ জন করে আছে পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে।
- কোচবিহার ও মালদার ৩ জন করে পড়ুয়া আছে সেরা ১০-এ।
- আলিপুরদুয়ার, বীরভূম ও উত্তর দিনাজপুরের ২ পড়ুয়া।
- ১জন করে পড়ুয়া আছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়।
এ বছর প্রথম স্থান অর্জন করেছে আলিপুরদুয়ারের ছাত্র অভীক দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর-৪৯৬। দেখে নিন তালিকা
- প্রথম- অভীক দাস, ম্যাকউইলিয়াম উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল (আলিপুরদুয়ার)। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।
- দ্বিতীয়- সৌম্যদীপ সাহা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫।
- তৃতীয়- অভিষেক গুপ্ত। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, মালদা। প্রাপ্ত নম্বর- ৪৯৪।
- চতুর্থ, প্রতীচী রায় তালুকদার, সুনীতি একাডেমি, কোচবিহার। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।
- শ্রেয়া ঘোষ, কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির, চন্দননগর। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৩।
- পঞ্চম -সায়ন্তন মাইতি, কন্টাই হাই স্কুল, কাঁথি। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
- সুস্বাতী কুন্ডু, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল, বাঁকুড়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
- সুপ্তোত্থিতা সরকার, বুলবুলচন্ডী গিরিজা সুন্দরী বিদ্যামন্দির, মালদহ। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
- সৌনক কর, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল, কলকাতা। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
- সানন্দা রায়, নভনালন্দা শান্তিনিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, বীরভূম। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।