'গণতন্ত্রকে নির্বাচন কমিশন হত্যা করেছে,' বিস্ফোরক মন্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। দিল্লিতে তৃণমূল নেতানেত্রীদের আটক করার প্রতিক্রিয়ায় এমনটা বলেন অভিষেক। তিনি বসেন, 'আজ দিল্লির বুকে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেভাবে ইলেকশন কমিশনের অফিসের বাইরে থেকে, এ জিনিস ইলেকশন কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না।'
সোমবার রাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেন। অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়েই ধর্নায় বসেন তাঁরা। তখনই তৃণমূল নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাজ্যপালের কাছে সে বিষয়েই অভিযোগ জানান অভিষেক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূলের ৭ জন নেতানেত্রী।তাঁদের অভিযোগ, ‘হেনস্থা’র শিকার হয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, জলপাইগুড়ির ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত মানুষের জন্য বাড়ি তৈরির অনুমতি, ইডি-সিবিআই-এনআইএ-র বিরুদ্ধে কিছু দাবি নিয়ে জলপাইগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়। কিন্তু বেরিয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্নায় বসতেই তাঁদের পুলিশ আটক করে।
সব শুনে রাজ্যপাল বলেন, 'তাঁদের দাবি আইনত ভুল নয়। তিনি মঙ্গলবার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।'
রাজভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, 'যে পরিণতি হয়েছিল বিজেপির ২০২১ সালে, তার থেকেও খারাপ ফল হবে।' NIA ডিরেক্টর ধনরাম সিংয়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জিতেন তিওয়ারি বলেছেন মানহানির মামলা করব। কই, এখনও তো কুণাল ঘোষকে নোটিশ দেননি। আমরা হাই-কোয়ালিটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখাব। NIA ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে ঢুকেছেন হাতে প্যাকেট নিয়ে। ৫২ মিনিট থেকেছেন। বের হয়েছেন খালি হাতে।'