কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের 'ভুল' উচ্চারণ নিয়ে এবার বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সভা ছিল শাহের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্রের নাম বালুরঘাটকে 'বেলুরঘাট' বলতে শোনা যায় শাহকে। এই নিয়ে সন্ধ্যায় আক্রমণ করলেন অভিষেক। বললেন, 'যে জায়গায় সভা করছেন, তার নামটাও জানেন না!' এই নিয়ে সুকান্তকেও দুষেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে যান অভিষেক। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদমাধ্যমে শাহের উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ করেন অভিষেক।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?
শাহকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, 'বালুরঘাটকে বেলুরঘাট বলেছেন। যে জায়গায় সভা করছেন, তার নাম জানেন না!' এর পরেই সুকান্তকে আক্রমণ করে অভিষক বলেন, 'ধরে নিলাম উনি (শাহ) গুজরাটে থাকেন, বাংলা পড়তে পারেন না। সুকান্ত মজুমদার তো রয়েছেন। তিনি বালুরঘাট থেকে লড়ছেন। তিনি বলবেন না। বললেই চাকরি চলে যাবে। তল্পিবাহকতা করা এঁদের কাজ, রাজ্য সভাপতিত্ব চলে যাবে।'
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর প্রথমবার বাংলায় সভা করেন শাহ। আর সেই প্রথম সভাতেই শাহের উচ্চারণ নিয়ে যেভাবে নিশানা করলেন অভিষেক, তা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল। অতীতে প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল জোড়াফুল শিবিরকে।
অন্য দিকে, ঘূর্ণিঝড়ে জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি করে দিতে চায় রাজ্য সরকার। ভোট ঘোষণা হওয়ায় লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। তাই এই সময় বাড়ি করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছে রাজ্য। কিন্তু সেই অনুমতি কমিশন দেয়নি বলে বুধবার দাবি করলেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '১৬০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, তাদের বাড়ি তৈরির টাকা রাজ্য দিতে চায়। কমিশন দিতে দিচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি হলে ৫ হাজার টাকা বা বেশি ড্যামেজ হলে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে। এরা বাংলা বিরোধি নয় তো কারা।' এরপরেই অভিষেকের মন্তব্য, 'রাজভবনে যে আলোটা জ্বলে সেটা বাংলার মানুষের টাকায়।' পরশু দিন জলপাইগুড়ি গিয়ে ১৬০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
গত সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কমিশনের কাছে অভিযোগ এবং দাবি জানিয়ে বাইরে ধর্নায় বসেন তাঁরা। পরে ধর্না তুলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আটক করে পুলিশ। তাদের প্রতিনিধিদের 'হেনস্থা' করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলার শাসকদলের। সেই নিয়ে রাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন অভিষেক। কমিশনের কিছু পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার রাজ্যপালকে চিঠি দেন অভিষেক। তারপরে বুধবার সন্ধ্যায় ফের রাজ্যপালের কাছে যান তিনি। অভিষেক বলেন, 'চিফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে রাজ্যপাল কথা বলতে পারেননি। কেন কথা বলতে পারেননি, তা জানি না। হয়তো বাংলার রাজ্যপাল কথা বলছেন, বাংলার দাবি তুলবেন বলে।'