লোকসভা ভোটের পরে দেশে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন হলে, তাতে সরাসরি যোগ দেবে না তৃণমূল। বরং বাইরে থেকে সমর্থন দেবে। বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার জনসভা থেকে এমনই ইঙ্গিত দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মমতার এই বক্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আমি মমতাকে বিশ্বাস করি না। তিনি জোট থেকে পালিয়েছিলেন,তিনি জোট ভেঙেছিলেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে তাই মমতা সারিবদ্ধ হতে শুরু করেছেন।'
বুধবার হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন তিনি। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা কেন্দ্রে বিরোধী জোট INDIA-কে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, 'ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব। যাতে বাংলায় আমার মা-বোনেদের কোনও দিন অসুবিধা না-হয়, ১০০ দিনের কাজে কোনও দিন অসুবিধা না-হয়।'
মমতার এই ঘোষণার পরেই বিরোধীরা নানা ভাবে কটাক্ষ করা শুরু করেন। দমদম লোকসভার বামপ্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও জাতীয় দল বিশ্বাস করে না। অন্যদিকে আজ বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, 'এমন ভাবে হারাবো। দেশে ওদের কোনো রোল থাকবে না। এবার তৃণমূল এমন সংখ্যা পাবে, কেউ ওদের ডাকবেই না।' কংগ্রেসের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুচারু ভাবে বিজেপি-কে সুবিধা করে দিতে চাইছেন।
২০০৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং। ২০০৯ সালে ইউপিএ জোটে সামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রিসভাতেও যোগ দেন মমতা। তাঁকে দেওয়া হয় রেলমন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও বেশ কিছু দিন তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব ছিল সেই সরকারে।