লোকসভা ভোটের আগে ফের বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমারকে সোমবারই রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। । এবার ৪ জেলায় জেলাশাসক বদল করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই জেলাশাসকরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস থেকে পদোন্নতি হয়ে আইএএস হয়েছেন। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল। কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলার জেলাশাসকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন ৷ সেখানে জানানো হয়, দেশের চারটি রাজ্য- ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও গুজরাতে নন-ক্যাডার আধিকারিক যাঁরা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলাশাসক পদে আসীন রয়েছেন, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে ৷ এর পাশাপাশি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বা এসপিদেরও বদলি করা হচ্ছে ৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধুর বৈঠক হয় ৷ তারপর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন ৷
বদলি হওয়া অফিসাররা হলেন গুজরাতের ছোট উদয়পুর এবং আহমেদাবাদ গ্রামীণ জেলার এসপি। পঞ্জাবের পাঠানকোট, ফাজিলকা, জলন্ধর গ্রামীণ ও মালেরকোটলা জেলার এসএসপি। ঢেঙ্কানলের জেলাশাসক এবং ওড়িশার দেওগড় ও কটক গ্রামীণ পুলিশ সুপার এবং পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলার জেলাশাসক। পাশাপাশি, নির্বাচিত রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আত্মীয়তা বা পারিবারিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা ও অসমের সোনিতপুরের এসএসপি-কে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত রাজীব কুমারকে সোমবারই রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের কাছে তিনটি নাম চাওয়া হয়েছিল। সেই নামের মধ্যে থেকে বিবেককে বসানোর অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের নতুন ডিজি নিয়োগ করে কমিশন। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে গত মঙ্গলবারই দায়িত্বে আনা হয়। তিনি ছিলেন দমকল বিভাগের ডিজি। এবার রাজ্য পুলিশের ডিজির পদে দায়িত্ব সামলাবেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের দেওয়া নামের তালিকায় সঞ্জয়ের নামও ছিল। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে সই রয়েছে সচিব রাকেশ কুমারের। চিঠিতে বলা হয়, রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বসানোর অনুমতি দিয়েছে কমিশন।