বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। দুর্গাপুরে সভা করতে এসে দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মেদিনীপুর কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁকে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলাবলি শুরু করেছিলেন, মেদিনীপুরে টিকিট না দিয়ে দিলীপকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। কিন্তু সেই সম্পর্কে দলের অবস্থান কার্যত পরিষ্কার করে দিলেন অমিত শাহ।
দুর্গাপুরের সভা থেকে অমিত শাহ তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার করে দেন যে, দিলীপ ঘোষ তাঁদের দলের বড় নেতা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে আজ এই জায়গায় আছে সেটা দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বেই হয়েছে। এমনটাও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, 'এবার বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি বেড়েছে, সেই সময় সভাপতি ছিলেন দিলীপদা। তিনি আমাদের বড় নেতা। দিলীপ ঘোষকে ভোট দেওয়া মানে সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়া।'
শাহ বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী করার অর্থ হল দেশকে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে প্রমাণ করা। নরেন্দ্র মোদী ফের ক্ষমতায় এলে দেশ থেকে নির্মুল হবে সন্ত্রাসবাদ। গরিব মানুষের উপকার হবে। নরেন্দ্র মোদী গত দুই বারে গরিব মানুষের জন্য বহু কাজ করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর আরও সুবিধে পাবেন গরিব মানুষরা।'
এরপরই অযোধ্যায় রাম মন্দির ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল ৭০ বছর ধরে এর বিরোধিতা করেছে। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই তিনি রামমন্দির তৈরি করলেন। সেই সময় মমতাদিদি ও ভাইপোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তাঁরা যাননি। আপনারা জানেন, কেন তাঁরা রামমন্দির প্রতিষ্ঠায় যাননি? কারণ, নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে মমতাদিদি যাননি। যারা অনুপ্রবেশকারী তারা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের ভোটব্যাঙ্ক। তাদের চটাতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে দিদি যাননি।'
বর্ধমান-দুর্গাপির ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউন ছিল। অথচ সেখানে এখন সেই অর্থে কারখানা নেই। তারও সমালোচনা করেন অমিত শাহ। তিনি জানান, এই কারণ তৃণমূল কংগ্রেস। তারা কলকারখানা খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি। সেজন্য দুর্গাপুরের মানুষ আজ এখানে কাজ করতে পারে না। শাহর কথায়, 'দিলীপদাকে জিতিয়ে দাও, সব কারখানা খুলে যাবে। এখানে তৃণমূলের রাজ। দিলীপদা জিতলেই উল্টো লটকে সোজা করে দেওয়া হবে দুর্নীতি পরায়নদের। দিদি এখানে ১৫ দিন ধরে ক্যাম্প করছে। দিদি আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আপনি ৫ বছর এসে থাকুন। তাও জিততে পারবেন না।'