Advertisement

Arjun Singh-Dibyendu Adhikari: দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া পতাকা নিলেন অর্জুন,বিজেপিতে যোগ দিলেন দিব্যেন্দুও

আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্ম শিবিরে ফেরার কথা বৃহস্পতিবারেই ঘোষণা করেছিলেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। সেইমতো শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে ফিরলেন অর্জুন সিং। বিজেপির সঙ্গে এদিন গেরুয়া পতাকা নিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও।

শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে ফিরলেন অর্জুন সিং
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 15 Mar 2024,
  • अपडेटेड 5:12 PM IST

আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্ম শিবিরে ফেরার কথা বৃহস্পতিবারেই ঘোষণা করেছিলেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। সেইমতো শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে ফিরলেন অর্জুন সিং। বিজেপির সঙ্গে এদিন গেরুয়া পতাকা নিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও। 

শুক্রবার দিল্লিতে এই যোগদান পর্ব হয় দুষ্মন্ত  গৌতম এবং বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের উপস্থিতিতে। অর্জুন সিং প্রসঙ্গে অমিত মালব্য বলেন, মাঝে কিছু কারণে পার্টির সঙ্গে তিনি  যোগাযোগ রাখতে পারেননি। এখন আবার পার্টির মুখ্য ধারায় যুক্ত হতে চান। অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “আজ আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলাম।” এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে মমতা সরকারের অভিযোগের আঙ্গুলও তোলেন মেদিনীপুরের তমলুকের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন বিজেপির প্রতীকে এবং দিব্যেন্দু তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বিস্তর দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূল নেতৃত্বের। ফলে খাতায়কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দুর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না রাজ্যের শাসকদলের। অন্যদিকে, ২০২২ সালের মে মাসে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু এবার তাঁকে তৃণমূল লোকসভার প্রার্থী না করায় আবার বিজেপিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।


এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দু অধিকারীর নামও শোনা গেল দিব্যেন্দুর মুখে। তমলুকের বিদায়ী সাংসদ  বলেন, “উনি বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে লড়ে যাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য নিয়ে অমিত মালব্য বলেছেন। আমরাবাঙালি, মা দুর্গা, মা কালীর পুজো করি। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে মহিলাদের প্রতিতার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। সারা দেশের ইস্যু এখন সন্দেশখালি। বিজেপির কর্মী হিসাবে মাঠে নেমে বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য।” দিব্যেন্দু সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, “সন্দেশখালি এখন সারা দেশের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি ওখানকার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৫০০-১০০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের সম্মান করা যায় না। মমতার দল বাংলার মহিলাদের সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোদীজিকে ৪০০ পার করানোর লক্ষ্য আমি কাজ করব।’’

Advertisement

অন্যদিকে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ‘ঘরওয়াপসির’ পর  বলেন, “২০২১ সালে যেভাবে ভোট পরবর্তী অশান্তি বাংলায় হয়েছে, যেভাবে খুন রাহাজানি হয়েছে সেখানে সবথেকে বেশি আমার এলাকায় লোকজন অত্যাচারিত হন। বিজেপি কর্মীদের বাঁচাতে অল্প সময়ের জন্য আমাকে দল থেকে দূরত্ব রাখতে হয়েছিল। খুব কষ্ট করে তাঁদের রক্ষা করতে হয়েছে। তবে বাংলায় তৃণমূলের সরকারের এসব নিয়ে কিছু আসে যায় না। ক্ষমতায় থাকতে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে অত্যাচার করতে জানে ওরা। সন্দেশখালি তার প্রমাণ। প্রতি বিধানসভায় এরকম সন্দেশখালি আছে। প্রতিবাদ করতে পারবেন না কেউ। এমন অত্যাচার বিশ্বে কোথাও হয় না।”  অর্জুন বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনার পর আমি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি। কারণ মহিলাদের উপর ওই অত্য়াচার আমি সহ্য করতে পারিনি। প্রশাসন এবং গুণ্ডা একসঙ্গে অপরাধ করেন বাংলায়।’’

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement