ইন্দ্রপতন বললে অত্যুক্তি হয় না। বহরমপুরে হেরে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। তাঁকে ৫৯৩৫১ ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪ লক্ষ ৮ হাজার ২৪০। অধীর পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৮৯ ভোট। চূড়ান্ত ফলাফল আসতেই ভোট পর্যবেক্ষকরা পর্যন্ত কার্যত অবাক।
অধীর চৌধুরীকে ইউসুফ পাঠান হারিয়ে দেবেন, এটা অনেকেই আঁচ করতে পারেন নি। অধীর নিজেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন স্বাভাবিকভাবেই। জানিয়েছিলেন, তিনি জেতা বা হারা নিয়ে নয়, লিড নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু বাস্তবে হলো উল্টো। শেষ হাসি হাসলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ।
এবার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের চমক ছিল ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা বহরমপুরে। এই লোকসভা কেন্দ্রকে অধীর চৌধুরীর গড় বলা হয়। সেখানে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, অধীর চৌধুরী বহরমপুরে মিথ। তাঁকে হারানো অসম্ভব। সেখানেই হারতে হল অধীরকে।
হার নিয়ে অধীর চৌধুরী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'রাজনীতিতে কেউ অপরাজেয় নয়। তাহলে বিজেপির এই অবস্থা হত না। আমি ইউসুফ পাঠানকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এখানে একটা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ হয়েছে। আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর কিছু নির্ভর করে না। কংগ্রেস বাংলায় অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।'
আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা চলছে গোটা দেশে। বাংলার অধিকাংশ আসনই তৃণমূলের পক্ষে গেছে। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর সেটাই মিলতে চলেছে। বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে, বাংলা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র।
পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীর এমন হাল হবে তা কংগ্রেস ভাবেনি। বহরমপুর আসন জিতবেন ১০০ শতাংশ বলে দাবি করেছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এমনকী জিততে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে দাবি করেছিলেন অধীর। সেক্ষেত্রে ফলাফল যা বলছে তাতে অধীরের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি।