নির্বাচনের শেষে এসেছে বুথ ফেরৎ সমীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গের ওপর চোখ রেখেছে গোটা ভারতবর্ষ। বিজেপির নজর বাংলা দখলে। আসন ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল, নাকি জয় হবে বিজেপি? আগামী ৪ জুন আসবে ফল। তার আগে কী বলছে এক্সিট পোল? পশ্চিমবঙ্গের হট সিট বসিরহাট। এই কেন্দ্রের সন্দেশখালি সবথেকে আলোচিত। সপ্তম দফাতেও অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু ছিল সন্দেশখালি। এই কেন্দ্রে তৃণমূল নুরুল ইসলাম বনাম বিজেপির রেখা পাত্রের লড়াই। সিপিএমের নিরাুদ সর্দারও আছেন নির্বাচনের লড়াইয়ে।
পশ্চিমবঙ্গে বুথ ফেরৎ সমীক্ষা কী বলছে?
India Today Axis My India Exit Poll-এর অনুমান অনুযায়ী, বিজেপির ভোটের হার থাকতে পারে ৪৬ শতাংশ। ৪০ শতাংশ ভোট পেতে পারে তৃণমূল। বাংলায় বিজেপি ২৬ থেকে ৩১ আসন জিততে পারে। তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১১-১৪ আসন। কংগ্রেস ও বাম জোট পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন। এক্সিট পোল অনুযায়ী, এর মধ্যে হট সিট বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলাম জিততে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তা যদি হয়, বিজেপির জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা। কারণ, ভোটের ময়দানে এই কেন্দ্রে রেখা পাত্রকে বিজেপি নামিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোন করেন। তাঁকে 'নারী শক্তি স্বরূপা' বলেও সম্বোধন করেন। ফলে বসিরহাটে সন্দেশখালি আন্দোলনের জের নাও পড়তে পারে।
হাজি নুরুল ইসলাম বনাম রেখা পাত্র-এর লড়াই
হাজি নুরুল ইসলাম বসিরাহাট কেন্দ্রে আগেও জয়লাভ করেন। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৪ সালের জেতা ইদ্রিশ আলিকে প্রার্থী করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তারকা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে এই আসনে দাঁড় করান। তিনি জয়লাভও করেন। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী তথা বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সন্দেশখালির আন্দোলনের মুখকে লোকসভায় নিয়ে যেতে মরিয়া বিজেপি। অনেকেই আবার একে বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক বলা হচ্ছে। সিপিএম প্রার্থী নিরাপদ সর্দার। সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে যখন বিক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন, সেই সময়ই নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আন্দোলনে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম। আন্দোলনের মুখ হিসেবে তাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে সিপিএম। তিনি প্রাক্তন বিধায়কও।
গত লোকসভাগুলির ইতিহাস
শেষ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ ৭ লাখ ৮২ হাজার ভোট পেয়ে বসিরহাট থেকে সাংসদ হন নুসরত। ক্ষমতা বাড়ায় বিজেপিও। বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ভোট। কংগ্রেসের কাজি আব্দুর রহিম পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সিপিআই প্রার্থী পল্লব সেনগুপ্ত পেয়েছিলেন ৬৮ হাজার ভোট।
২০২৪-এর ফলাফলের অপেক্ষা
বসিরহাট লোকসভা আসনটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি এবং গত দুটি সাধারণ নির্বাচনে দলের প্রার্থীরা এই আসনে আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপির সংখ্যা বাড়ে। বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়ের হাই-প্রোফাইল প্রার্থীদের উপস্থিতির কারণে বসিরহাট ৪ জুন, ২০২৪-এর ফলাফল আকর্ষণীয় হতে পারে।