সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার কারণে সমালোচনার মুখে শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণকে সাংবাদিকদের ওপরে চিৎকারের পাশাপাশি আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিতেও দেখা যায়। সেই ভিডিও ট্যুইট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একজন বিদায়ী সাংসদ কীভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারেন, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
২৭ মার্চ ওই ভিডিও পোস্ট করেন অমিত মালব্য। তাতে দেখা যায়, একজন মহিলা সাংবাদিক কল্যাণকে বলেন, 'আমি তো জিজ্ঞাসা করতাম যে লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নই করতাম।' একথা শুনেই মেজাজ হারান কল্যাণ। তিনি তাঁর আশপাশে থাকা লোকজনকে বলেন, 'এই তোমরা তাহলে বলে দাও আমি মিটিং করব না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরই দেব।' তারপরই কল্যাণ আঙুল উঁচিয়ে সাংবাদিককে বলেন, 'আমি এতক্ষণ বসেছিলাম। তখন এলেন না।' তখন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমরা অনেকক্ষণ বসেছিলাম।' একথা শুনে আরও মেজাজ হারান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে চিৎকার করেন সাংবাদিকের ওপর। বলতে থাকেন, 'সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলবেন না। আপনারা অনেকক্ষণ এসেছেন। আমি বসে আছি। আর আমি যখন মিটিং করতে যাচ্ছি তখন আপনারা ঢুকে যাচ্ছেন। আপনি আমাকে কী ভাবেন বলুন তো! কী স্ট্যান্ডার্ডের ভাবেন বলুন তো।'
ভিডিওটি পোস্ট করে অমিত লেখেন, 'তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বাংলায় সাংবাদিকদের গালাগালি করার পরে, এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পালা, নোংরা মুখের সাংসদ, যিনি উপ রাষ্ট্রপতিকে উপহাস করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মরিচিকা। কারও প্রতি তৃণমূলের শ্রদ্ধা নেই।'
সদ্য দল বদল করলেও দীর্ঘদিন একই দলে ছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। কল্যাণের ব্যবহার নিয়ে তিনিও মুখ খুলেছেন। bangala.aajtak.in-কে তিনি বলেন, 'গরম পড়েছে তো, পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তাই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। মেজাজটা ঠিক রাখতে পারছেন না। তবে, রাজনৈতিক কর্মী ও জন প্রতিনিধিদের মেজাজ ঠিক রাখতে জানতে হবে। মানুষের সঙ্গে বা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তার ফল ভুগতে হয়। যারা আমাদের সার্ভিস দেয় তারা স্বেচ্ছায় দেয়।'