ফের রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম। শনিবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। তার ৩ দিন আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি সমর্থক এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাংলার শাসকদল। নন্দীগ্রাম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র। ভোটের আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি সমর্থক মহিলাকে খুনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যত বনধের চেহারা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মহিলার নাম রথীবালা আড়ি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বেধেছিল। সেই ঘটনায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আরও ৭ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায়। বুধবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিজেপি কর্মীদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
গত মাসেই পূর্ব মেদিনীপুরের আরও এক এলাকা ময়নায় বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার মধ্যেই বাংলায় রাজনৈতিক কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ময়নায় এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়না থানার পুলিশ। জানা গিয়েছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম দীনবন্ধু(ধনঞ্জয়) মিদ্দ্যা (২২)। ওই যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। পানের বরজ থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিকল্পনা করে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে অভিযোগ বিজেপির।
ভোটের আগের রাতে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। খুনের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বামেরা। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। তারপরে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম মিন্টু শেখ (৫০)। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফেরার পথে খুনের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার ঘায়ে জখম হন মিন্টু। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, নিহতের স্ত্রীর দাবি, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন। নিজেদের বাঁচাতে সিপিএমের নামে দোষ দিচ্ছে।