Advertisement

BJP-র বিজ্ঞাপনী প্রচার মামলা: 'লক্ষ্মণরেখা' স্মরণ করিয়ে খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

লোকসভা ভোটের মধ্যে বিজেপিকে বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল, আপাতত এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। তবে তাতে উল্টে ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল ডিভিশন বেঞ্চ।

হাইকোর্টে ফের ধাক্কা BJP-র
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 May 2024,
  • अपडेटेड 2:34 PM IST

লোকসভা ভোটের মধ্যে বিজেপিকে বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল   কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল, আপাতত এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল  রাজ্য বিজেপি। তবে তাতে উল্টে ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল ডিভিশন বেঞ্চ। তাই আপাতত বিজ্ঞাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকল। তবে বিজেপি সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে বিজ্ঞাপনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আর্জি জানাতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

ভোটকে ঘিরে সংবাদপত্র এবং টিভি মাধ্যমে বিজেপির দেওয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সোমবার  বিজ্ঞাপন নিয়ে বিজেপিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য,  গত ৪, ৫, ১০ এবং ১২ মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজেপি যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল সেগুলি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছে। সোমবার  হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, ওই ধরনের কোনও ‘আনভেরিফায়েড’ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। বিচারপতি মন্তব্য করেন, বিজ্ঞাপন নিয়ে তৃণমূল যে অভিযোগ করেছিল, তা নিয়ে যে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে  ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। তবে সেখানেও জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। বুধবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চআজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে বলেন, 'সব বিজ্ঞাপনের লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত।' এই আবহে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তাই আপাতত বিজ্ঞাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকল। তবে বিজেপি সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে বিজ্ঞাপনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আর্জি জানাতে পারবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 

Advertisement

ডিভিশন বেঞ্চে এদিন  এই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি   শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেন, যে কোনও বিজ্ঞাপনের একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভাবে পোস্টার, ব্যানার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি, বিমানবন্দরে যদি যান, দেখবেন সেখান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির ছবি থাকতে পারে।’’

উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির মূল মানেই তৃণমূল’ এবং ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ স্লোগান সহ দু'টি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল বিজেপি। এই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তৃণমূল আদালতের দ্বারস্থ হয়। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করায় নির্বাচন কমিশনকেও ভর্ৎসনা করেছিল উচ্চ আদালত।  ওই মামলায় বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement