লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ কার্যকর করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে টিভি সূত্রে খবর। বস্তুত, লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর করার কথা চলতি মাসের শুরুতেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। এই আইন মোতাবেক, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যদি সে দেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় চান, তা হলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার। সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাশ পাওয়ার পরে অনুমোদন দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে তারপর দীর্ঘ সময় পার হলেও সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
সিএএ-র বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়েছে বহু রাজনৈতিক দলই। প্রথম থেকেই সিএএ-র বিরোধিতা জানিয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর করা হলে, তা এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
অন্য দিকে, মার্চের প্রথম দিনই বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পর পর ৩টি সভা করার কথা মোদীর। সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজনীতির ময়দান। এই আবহে বাংলায় মোদীর সফর আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। ১ মার্চ আরামবাগে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। পরের দিন, অর্থাৎ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন মোদী। এর পর ৬ মার্চ বারাসতে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, ৬ তারিখ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, সন্দেশখালির মানুষ চাইলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
এই সময়ই রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে আসছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। ৫ মার্চ পর্যন্ত থাকবেন তাঁরা। রাজ্যে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এই সফর বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার কমিশন সূত্রে খবর, ১৩ মার্চের পর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। তার আগে এবার সিএএ কার্যকর করা নিয়ে জল্পনা জোরালো হল।