নির্বাচনের প্রাক্কালে বালুরঘাট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'ভোটপাখি' বলে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেন, 'সারা বছর দেখা নাই, এলেন আরেক ভোটপাখি'। কেন্দ্র একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় 'বন্ধ সরকার' বলেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, "বিজেপির এত বড় সাহস বলে কিনা ৩ মাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ যা চালু আছে সব বন্ধ করে দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের ঐক্যশ্রী বন্ধ। ৩ কোটি ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দিই। সেল্ফ হেল্প গ্রুপের টাকা আমরা দিই। একশো দিনের টাকা ৩ বছর ধরে বন্ধ, তাহলে মোদীর ভোটও বন্ধ।"
তিনি দুর্নীতি নিয়ে বলেন, "বলেন দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ দাও। বাংলা, বিহার, মহারাষ্ট্র আর উত্তরপ্রদেশের চারটি লিস্ট বের করে দেখাও আর উত্তরপ্রদেশে কত দুর্নীতি আর বাংলায় কত। লোকালি দু-একজন বদমায়েশি করেছিল আমরা তাদের বাদ দিয়ে দিয়েছি।"
আবারও বিজেপিকে বিদায়ের হুঙ্কার দেন তিনি। এদিন অমিত শাহকে আক্রমণ করে বলেন, "না বলতে পেরেছে লোকসভা কেন্দ্রের নাম, না প্রার্থীর নাম। বালুরঘাটকে বেলুরঘাট বলে।"
এনআরসিকে ফের বিঁধে বলেন, "মমতাবালা ঠাকুরদের দেখছেন, এনআরসি নিয়ে আন্দোলন হলে আসামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওদের পিটিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে আছে। আপনারা কি এনআরসি, সিএএ চান? ইউসিসি হলে সাধারণ মানুষের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। মোদী জিতলে সবাইকে তাড়িয়ে দেবে। জেল ভর্তি করে দেবে। এখন গণতন্ত্রের সবথেকে বড় জেল তৈরি করেছেন মোদী।"
মোদীর 'চুন চুনকে'-র মন্তব্যে কটাক্ষ করে বলেন, "সাহস থাকলে কাজ দেখিয়ে ভোট নিন। ১০ বছরে কী করেছেন সেই রেকর্ড দেখান। ১৫ লক্ষ পেয়েছেন? ভোট নিয়ে গেল। কাজ করলাম আমরা। খাটলাম আমরা। সংখ্যালঘু স্কিম, পুরোহিত, আদিবাসীদের সম্মান চাইলে আপনাদের ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসে আসবে মনে থাকবে তো? খেলা হবে?"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই কেন্দ্রে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বাংলায় বিকাশের জয়ের স্লোগান তোলেন। ৪ জুন ৪০০ পার, মোদীর গ্যারান্টির কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বালুরঘাট বিমানবন্দরের জন্য বিজেপি অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু এখানকার তৃণমূল সরকারের ইচ্ছে নেই বালুরঘাটে এয়ারপোর্ট তৈরি করার। গত ১০ বছরে বাংলায় তৃণমূলের প্রবল বাধা সত্ত্বেও উন্নয়নে বাংলার পাশে থেকেছে এমনটাই দাবি করেন মোদী।