লোকসভা ভোটের মুখে রামনবমী ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে। একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভায় রামনবমীতে হিংসা রোখার প্রসঙ্গ তুলছেন, তখন পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানা, মুখ্যমন্ত্রী আসলে হিংসায় উস্কানিই দিচ্ছেন।
অন্য সম্প্রদায়ের লোক বলছে না, ইনিই উস্কানি দিচ্ছেন: শুভেন্দু
আজ অর্থাত্ সোমবার দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে প্রচারসভায় রামনবমী প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে বললেন, 'খুব সাবধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় সভায় গিয়ে বলছেন, রামনবমীতে দাঙ্গা হবে, রামনবমীতে দাঙ্গা হবে। অন্য সম্প্রদায়ের লোক বলছে না। ইনিই উস্কানি দিচ্ছেন। আমার সংখ্যালঘুরা বলুন তো, আপনাদের কোনও উন্নয়ন এরা করেছে? আপনাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেজপাতা মনে করেন। তরকারিতে লাগবে, কিন্তু খাওয়া যাবে না। রামপুরহাটে বগটুইয়ে ৭ জন মুসলিম মহিলাকে পুড়িয়ে মেরেছে কে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কে, গার্ডেনরিচে ৭ জন সংখ্যালঘুকে বাড়ি চাপা পড়ে মারল কে, ববি হাকিম আবার কে। আর আপানার সংখ্যালঘুরা কত অত্যাচার সহ্য করবে না, বদলা নেবেন না?'
গালাগালি দিলে মাথা ঠান্ডা করেও আল্লার নামে প্রে করবেন: মমতা
বস্তুত, এদিন কোচবিহারেই জনসভায় রামনবমী প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আমি সংখ্যালঘু ভাইবোনদের বলব, যদি দেখেন শ্লোগান দিচ্ছে, ১৭ তারিখ, ওটা ওদের দাঙ্গা করার দিন। আমি মনে করি, ওটা মানুষের সম্মানের দিন হোক। ঐক্যের দিন হোক। গালাগালি দিলে মাথা ঠান্ডা করেও আল্লার নামে প্রে (প্রার্থনা) করবেন। ওদের বিদায় চাইবেন। কিন্তু কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমাদের শান্তিরক্ষা করতে হবে। ওরা চাই দাঙ্গা করে NIA ঢুকিয়ে দিয়ে ভোটটা যাতে না হয়। আর ভোটটা যাতে ওরা ছাপ্পা মেরে দেয়।'
রামনবমীর শোভাযাত্রায় প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী
রামনবমীর শোভাযাত্রা প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে বলে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বক্তব্য, ধর্মীয় বিশ্বাসে বাধা দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। সেই কারণে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলের রুট পরিবর্তনের ব্যাপারে রাজ্যের দাবি খারিল করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।