আদানি-আম্বানি নিয়ে নিজের মন্তব্যের সাফাই দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। তাঁর মন্তব্য,'বিজেপি মশকরা বোঝে না। ওরা বলছে, আদানি-আম্বানি আমাদের টাকা দিয়েছি। আমি বলেছিলাম, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না'।
আদানি-আম্বানির নাম নিয়ে মোদীকে আক্রমণ শানান রাহুল গান্ধী। নির্বাচনী প্রচারের মাঝে পাল্টা আদানি-আম্বানির নাম করে কংগ্রেস নেতাকে বিঁধেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন,'নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর আদানি-আম্বানির নাম নেওয়া বন্ধ করে দিলেন। কত বস্তা কালো টাকা ঢুকেছে? কংগ্রেসের কাছে কি নোটভর্তি টেম্পো পৌঁছেছে?' ওই প্রসঙ্গে রেড মাইক নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর চৌধুরী বলেন,'ওই টাকা (আদানি-আম্বানির অর্থ) পেলে আমি খুশিই হতাম। আমি বিপিএল (দারিদ্রসীমার নিচে) সাংসদ। প্রচার চালানোর জন্য টাকা চাই। টেম্পো বাদ দিন, আমার বাড়িতে আদানি এক ব্যাগ টাকা পাঠালেও যথেষ্ট'।
অধীরের বক্তব্যের এই অংশটি টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর কথায়,'অধীর চৌধুরীর কথায় বোঝা যাচ্ছে, এটা রাজনৈতিক তোলাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। অধীর চৌধুরী ইন্টারভিউয়ে দাবি করেছেন, আদানি টাকা দিলে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন না। যেটা ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী করেছেন। এটা ঠিক তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের মতো কাজ হয়ে গেল। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করার জন্য দুবাইয়ের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ও দামি উপহার নিয়েছিলেন'।
বিজেপির আক্রমণের জবাব দিয়েছেন অধীর। তাঁর দাবি, মশকরার ছলেই ওই কথা বলেছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন,'আদানি-আম্বানিদের নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান সকলেই জানেন। হাম দো, হমারে দো- স্লোগান প্রথম দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীই। আমার মশকরা করে বলা কথা নিয়ে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি'।
কী বলেছেন মোদী?
নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,'আপনারা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, গত ৫ বছরে কংগ্রেসের যুবরাজ (রাহুলকে এভাবেই সম্বোধন করেন মোদী) রোজ সকালে উঠে জপ করতে। ৫ বছর ধরে ৫ শিল্পপতির নাম জপ করতেন। তারপরে ধীরে ধীরে আদানি-আম্বানিদের নাম নিলেন। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হতেই আম্বানি-আদানিদের নাম নেওয়া বন্ধ করে দিলেন। কত বস্তা কালো টাকা টুরি করেছেন? কংগ্রেসের কাছে কি নোট ভর্তি টেম্পো পৌঁছেছে? কী ডিল হয়েছে? রাতারাতি আম্বানি-আদানিকে তিরষ্কার করা বন্ধ করে দিলেন। নিশ্চয়ই কিছু ব্যাপার রয়েছে। দেশের মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে।'