নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার থেকে ৪ লক্ষের বেশি ভোটে জেতার হুঙ্কার দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গণনা শুরু হতেই সেই ট্রেন্ড শুরু হয়ে যায়। গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে যেতে শুরু করেন। বেলা ১১টার আগেই ১ লক্ষ ভোটে এগিয়ে যান অভিষেক।
বাংলায় ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হল ডায়মন্ড হারবার। সেখানে প্রার্থী স্বয়ং তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই সব নজর সেই দিকেই ছিল। এই কেন্দ্রের ক্ষেত্রে মূল বিষয় হল মার্জিন। একসময় ডায়মন্ড হারবার ছিল বামেদের গড়। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্রে প্রথমবার ফোটে ঘাসফুল। তারপর থেকে তৃণমূলের দখলে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। ঘাসফুল শিবিরের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছর এখানকার সাংসদ। প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে একসময়ের গড়ে আজ অনেকটাই পিছনে বামেরা। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। এবার জিতে ডায়মন্ড হারবারে হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন অভিষেক, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দাবি করেছিলেন, এবার তিনি ডায়মন্ড হারবারে ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন যা, ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের থেকেও বেশি। অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারা বাংলার মধ্যে ডায়মন্ড হারবারই জয়ের নতুন রেকর্ড গড়বে। অভিষেক ২০১৪ সালে ৪০.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সংখ্যার হিসেবে তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮১টি। অন্যদিকে, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী আবুল হাসনত পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৭টি ভোট। তবে সেই সময় বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে। ২০১৯ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটতম প্রার্থী বিজেপির নীলাঞ্জন রায়কে ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারান। সেবার তিনি মোট ৫৬.১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৩ ভোট পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তিনি পেয়েছিলেন ৩৩.৩৯ ভোট। অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী ডঃ ফুয়াদ হালিম তখন পেয়েছিলেন মাত্র ৯৩ হাজার ৯৪১টি ভোট। শতাংশের নিরিখে যা ছিল মাত্র ৬.৬৬ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রার্থী সৌম্য আইচ রায় মাত্র ১৯ হাজার ৮২৮টি ভোট পেয়েছিলেন। কার্যত রেকর্ড ভোটে জয়ী হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রীতিমতো ঢেকে যায় সবুজ আবিরে। আর এবার ভোটে জয়ের ব্যবধান অতীতের রেকর্ড ভেঙে দেবে বলে আগেই দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।