মহারাজ ভেবে ভুল মূর্তিতে মালা দিয়ে বসলেন দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই ভুল বুঝতে পেরে কোনওমতে ম্যানেজ দিলেন বিজেপি নেতা।
রবিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী। তখনই বর্ধমানের জহুরিপট্টিতে একটি সাদা মূর্তিতে মালা দেন দিলীপ। এই পর্যন্ত তবুও ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু এরপরেই তাল কাটল। মালা দিয়েই স্লোগান দেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'মহারাজ উদয়চাঁদ অমর রহে।'
এরপরেই একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। কারও মুখে হালকা হাসিও। এক বিজেপি কর্মীই তখন ভুল ধরিয়ে দিলেন। বললেন, 'এটা বনবিহারী কপূরের মূর্তি।' চমকে ওঠেন দিলীপ। মহারাজ ভেবে বনবিহারী কপূরের মূর্তিতেই মালা দিয়ে ফেলেন তিনি।
সব জেনেই দিলীপ বলেন, 'এখানে আবার কপূর এলেন কোথা থেকে!' আসলে মহারাজ ভেবে যে তিনি অন্য় মূর্তিতে মালা দিয়ে ফেলেছেন, তাই ভেবে বেশ অস্বস্তিতেই পড়েন তিনি।
এরপর আর সেখানে বেশিক্ষণ থাকেননি দিলীপ। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছাড়েন। অন্য় জায়গায় নির্বাচনী কর্মসূচিতে চলে যান।
আলোচ্য মূর্তির নিচে দেখা গেল, 'শ্রীল শ্রীযুক্ত রাজা বনবিহারী বাহাদুর সিএসআই, দেওয়ান-ই-রাজ ১৮৭৭-১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ।' সেই সঙ্গে লেখা, 'ম্যানেজার রাজ, বর্ধমান ১৮৮৫-১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ।'
প্রসঙ্গত, এর আগেও ভুল মূর্তিতে মালা দিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২০ সালে বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। বাঁকুড়ায় পুয়ারবাগানে বিরসা মুণ্ডা মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কিন্তু পরে স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন দাবি করে, সেই মূর্তি বিরসা মুণ্ডার নয়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। সংগঠনের একাংশ দাবি তোলে, ভুল মূর্তিতে সম্মান জানিয়ে আদিবাসী সমাজের ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে।
তারপর প্রায় ৪ বছর পেরিয়েছে। লোকসভার আগে ফের মূর্তি বিভ্রাটের জেরে কিছুটা অস্বস্তিতেই গেরুয়া শিবির।