চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে মন্তশ্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। সেখানে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা শুয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বাধা দিতে যান দিলীপ ঘোষ। অশান্তি এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, দিলীপ ঘোষের কনভয়ের কাচ ভেঙে দেওয়া হয় ইটের আঘাতে। এমনকী দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন জখমও হন।
এদিন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললাতে যান দিলীপ ঘোষ। তখন আচমকাই তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে দাবি করেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকাতে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। তবে দিলীপ ঘোষ অশান্তি ছড়াতেই এখানে এসেছেন। তারই প্রতিবাদে জমায়েত করেছেন তাঁরা।
তবে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বিজেপি-র এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। সে খবর পেতেই তিনি বুথে এসেছিলেন। ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। তার জেরে দিলীপের কনভয়ের কাচ ভেঙে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তারক্ষীও জখম হয়েছেন।
দিলীপ ঘোষ জানান, তিনি সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রের একাধিক জায়গাতে গিয়েছেন। কোথাও ঝামেলা হয়নি। এখানে তাঁদের এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হয়নি। সেই খবর পেয়ে তিনি এসেছেন। অথচ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বাঁধা দেন। তিনি প্রার্থী তাই সব জায়গাতে তাঁর যাওয়াক অধিকার রয়েছে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের উপরও আক্রমণ করা হয়।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সকালেই তৃণমূলের প্রার্থীর সঙ্গে কোলাকুলি করলাম। এখানে আসামাত্র তৃণমূলের কর্মীরা আমার গাড়ি ঘিরে ধরলেন। তাঁরা বলছেন, আমার সঙ্গে এত লোক কেন। অথচ আমার সঙ্গে যাঁরা থাকেন, তাঁরাই রয়েছেন। ওরা সংবাদমাধ্যমের কথা বলছেন। কিন্তু, সংবাদমাধ্যম আমার সঙ্গে এলে কী করব। কীর্তি আজাদের সঙ্গে লোক নেই। তাঁকেও গাড়িতে বসতে বললাম। কোনও কোনও বুথে অন্যবার লোক বসতে দেওয়া হত না। এবার আমি নিজে গিয়ে বসিয়ে দিয়ে এলাম।'
সাময়িক উত্তজনা ছড়ায় আসানসোলেও। উত্তর বিধানসভার চেলিডাঙায় ৭২ নম্বর বুথের বাইরে উত্তেজনা। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, মৃত ব্যক্তিদের নামে ভোট পড়ে যাচ্ছে ওই বুথে। খবর পেয়ে সেখানে আসেন বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস।