লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে 'অভিমানী' তৃণমূল নেতা তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। টিকিট না দিয়ে দল তাঁর সঙ্গে 'বিশ্বাসঘাতকতা' করেছে বলে সরব হয়েছেন অর্জুন। তিনি 'স্তম্ভিত' বলেও মন্তব্য করেছেন। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগে অর্জুনের ফের দলবদল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
অর্জুন প্রসঙ্গে দিলীপ
অর্জুন কি ফের বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এরকম অনেক নেতাই ত্রিশঙ্কু হয়ে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও এখন পরিষ্কার হচ্ছে। মোদীর নেতৃত্বে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনীতির জামা গায়ে পরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। উনি কোথায় যাবেন, সেটা এখন আর ওঁর হাতে নেই।'
অর্জুন তৃণমূলেরই নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে টিকিট বণ্টন নিয়ে সেবারও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের 'বাহুবলী' নেতা অর্জুন। সেবার দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন। সেবার দীনেশকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুরে প্রার্থী হন অর্জুন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়ে জয়ী হন এই দাপুটে নেতা। কিন্তু তার পরে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে অর্জুনের। গত রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। ঠাঁই পাননি অর্জুন। ব্যারাকপুর থেকে ভোটে লড়ছেন পার্থ ভৌমিক। এরপরেই অর্জুনের গলায় ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। যার জেরে ফের তাঁর দলবদলের জল্পনা জোরালো হয়েছে।
অন্য দিকে, অর্জুনের সঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথা হয়েছে বলে খবর। সংবাদমাধ্যমে ফিরহাদ দাবি করেছেন, 'অর্জুন আমায় বলেছে ও অন্য কোনও দলে যাচ্ছে না।' এই আবহে অর্জুন প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।